আহ্বায়ক: নাহিদ ইসলাম
সদস্য সচিব: আখতার হোসেন
সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিট: বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম শীর্ষ নেতা সারজিস আলম।
‘একাত্তরের পর এই একবিংশ শতাব্দীতে আরেকটি অধ্যায় ২০২৪ সাল। আমরা এই চব্বিশের অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টবিরোধী যে লড়াই করেছি, খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে আমরা যারা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করেছি, বাংলাদেশের ফ্যাসিস্টবিরোধী সব রাজনৈতিক দল, মত, বর্ণ, বয়সের যে মানুষ ঐকবদ্ধ হয়েছি সবাইকে অন্তরের অন্তঃস্তল থেকে জানাই কৃতজ্ঞতা। আমরা বিশ্বাস করি, গত ৫ আগস্ট খুনি হাসিনা জান নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আমরা এই বাংলাদেশকে নিয়ে যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলাম, সে স্বপ্নগুলো যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই তাহলে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
‘আমাদের কোনো বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথা থাকবে, যুক্তিতর্ক থাকবে, কিন্তু দিনশেষে যেটি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য মঙ্গলকর, আমরা সবাই যেন সেটা ঐকবদ্ধ হতে পারি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের এই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই মিউচুয়াল রেসপেক্টটা থাকে, আগামীর বাংলাদেশ হবে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ। আপনাদের অনুরোধ করি, বাংলাদেশে সরকারি যত কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে, তারা যেন তাদের দায়িত্ব পালন বাদ দিয়ে তোষামোদের রাজনীতিতে লিপ্ত না হয়।’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সারজিস আলম। ছবি: ভিডিও থেকে
‘আমরা অনুরোধ করি, বাংলাদেশ পুলিশ নামক যে প্রতিষ্ঠানটিকে শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়েছেন, সেই প্রতিষ্ঠানটি যেন কাজের মাধ্যমে তাদের গৌরব আবার ফিরিয়ে আনে। আমরা আপনাদের অনুরোধ করি, সরকারি অফিস-আদালত যা আছে— সে পুলিশ হোক, বিচারক হোক, আমলা হোক— দয়া করে জনগণ থেকে হাত পেতে ওই ঘুষের টাকা নেবেন না। দয়া করে জনগণের জন্য, জনগণের সাথে সামান্য স্বার্থের জন্য এই অন্যায়গুলো করবেন না।’
‘এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো খুনি হাসিনা নিজ হাতে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সব রাজনৈতিক দলকে ঐকবদ্ধভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেন সেই মানুষটি বসেন যে মানুষটি দেশ ও মানুষের জন্য ভালো, সেই মানুষটি নয় যিনি মাই ম্যান। আমার সামনে আমার আহত যোদ্ধারা, আমার সামনে ১৬ বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বা নির্দলীয় যারা ফাইট করেছেন তারা বসে আছেন। আমার সামনে আমার শহিদ পরিবার রয়েছে। এই প্রতিটি গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা— এগুলোর বিচার যেন আমরা ঐকবদ্ধভাবে করি। এই খুনি হাসিনার বিচার যেন আমরা ঐকবদ্ধভাবে করি। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, নিজেদের সামান্য স্বার্থের জন্য যেন কোনো অপরাধী ছাড় না পেয়ে যায়।’
‘আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেন্দ্র থেকে ওই একদম গ্রাম পর্যন্ত, রুট পর্যন্ত যেন নিজেদের মধ্যে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা হয়, দয়া করে যেন কাউকে প্রতিপক্ষ না মনে করি। আমরা বড় রাজনৈতিক দল যারা রয়েছি, তারা যদি ছোট রাজনৈতিক দগুলোকে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যেতে না দিই, তাহলে আমাদের মধ্যে ধীরে ধীরে এমন একটি মানসিকতা আসবে যে মানসিকতা হয়তো আমাদের ধীরে ধীরে স্বৈরাচারী আচরণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমরা যেন সবসময়, আমিসহ আমরা সবাই খুনি হাসিনাকে দেখে যেন শিক্ষা নেই। আমি অনুরোধ করি, আগামীর বাংলাদেশকে আমরা ঐকবদ্ধভাবে গড়ব। একটা জিনিস মনে রাখবেন, দিন শেষে দেশ ও মানুষের স্বার্থকে সবার আগে রেখে যদি আমরা এগিয়ে যেতে পারি, তাহলেই কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ সম্ভব।’
সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিট: বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনীম জারা।
‘আজ শুধু আমরা নতুন একটি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করছি না, একটি নতুন রাজনৈতিক পথচলা শুরু করছি। আমরা নতুন ধরনের রাজনীতি করতে এসেছি। বিগত বছরগুলোতে রাজনীতির অর্থ ছিল ক্ষমতার খেলা, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, অনেক সময়ই স্বার্থের লেনদেন। আমরা সেই রাজনীতির অবসান চাই।’
‘আমরা এমন রাজনীতি করতে চাই, যেখানে শুধু ব্যক্তি বা পরিবারের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে না, রাজনীতি হবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, জনগণের কথা বলা। আমরা চাই এমন বাংলাদেশ গড়তে, যেখানে মানুষ বলবে না যে সব দলই এক। কারণ আমরা রাজনীতি করতে আসিনি ক্ষমতা দখলের জন্য, আমরা রাজনীতি করতে এসেছি জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফেরত দেওয়ার জন্য।’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ডা. তাসনিম জারা। ছবি: ভিডিও থেকে
‘আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে যে কেউ তার যোগ্যতা, সততা ও জনগণের সমর্থন নিয়ে মানুষের নেতৃত্ব দিতে পারবে, নেতা হয়ে উঠতে পারবে, ব্যক্তি বা পরিবারের পরিচয় মুখ্য হবে না। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে ক্ষমতা শুধু ব্যক্তি বা পরিবারে কুক্ষিগত থাকবে না, ক্ষমতা থাকবে জনগণের হাতে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পণ্যে পরিণত হবে, সেটি হবে সবার নাগরিক অধিকার, সবার সমান থাকবে। বাংলাদেশ বদলাবেই, অবশ্যই বদলাবে, আপনাদের হাত ধরেই বদলাবে।’
সন্ধ্যা ৬টা ০৫ মিনিট: বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
‘আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি। আজকের এই তারিখটি বাংলাদেশের জনগণ সবসময় মনে রাখবে। কারণ বাংলাদেশে গত ৫৩ বছর একটি বাইনারি পলিটিকসের মধ্যে আমাদের ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের কোনো অপশন ছিল না, হয় একটি, না হয় আরেকটি। এভাবে করে আমরা নাগরিক অধিকারের কথা ভুলতে বসেছিলাম।’
‘এখন একটি সময় এসেছে। এবং সেই সময় করে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে হওয়া সেই গণজাগরণ, সেই গণঅভ্যুত্থান। চব্বিশের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা এই বাংলাদেশের নতুন রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের একটি সমাপ্তি ঘটানোর স্বপ্ন দেখতে পারছি। এই স্বপ্নের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠনের কথা বলছি।’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সামান্তা শারমিন। ছবি: ভিডিও থেকে
‘এই বাংলাদেশে কখনো বাংলাদেশকে অ্যাজ আ স্টেট, রাষ্ট্র হিসেবে এস্টাব্লিশ করার কোনো প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয় নাই। এই প্রচেষ্টা গ্রহণ করার উদ্যোগ আমাদেরই নিতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের আত্মা, তাদের ত্যাগ, আমাদের ওপর এই দায় চাপিয়ে দিয়েছে। এই দায় অস্বীকার করার উপায় নাই। আমরা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের যে চেষ্টা করে যাচ্ছি, যে আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে যাচ্ছি, সেই আকাঙ্ক্ষার মূলে রয়েছে এই দেশের মাটির প্রতি আমাদের ওয়াদা, এই দেশের মানুষের প্রতি আমাদের ওয়াদা।’
‘এই দেশের মানুষের সালে সালে বছরে বছরে যে সংগ্রাম রয়েছে, সেই সংগ্রামকে আমাদের মধ্যে ধারণ করতে হবে। আমাদের নতুন রাজনৈতিক দলের যে আকাঙ্ক্ষা, দেশব্যাপী মানুষের কাছ থেকে আমরা শুনেছি, কেন আমরা রাজনৈতিক দল গঠন করতে এত দেরি করছি। আমাদের একটি নতুন রাজনৈতিক দল এ জন্য প্রয়োজন, কারণ বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে গঠনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কারণ বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের কথা বলার মতো কোনো দল বাংলাদেশে নাই। কারণ কোনো রাজনৈতিক দল কোনো দেশ থেকে ন্যায্য হিস্যা আদায় করে দিতে পারে নাই। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি আমাদের পিছিয়ে রেখেছে। এ কারণে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন।’
‘মানুষের মুখ থেকে আমরা শুনেছি তারা নতুন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কী কী চান। বাংলাদেশের সহজ-সরল খেটে খাওয়া মানুষের রাজনীতি যারা করবে, তাদের কথা বলার জন্য একটি রাজনৈতিক দল প্রয়োজন। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সেই সুযোগ করে দিয়েছে।’
বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিট: বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।
‘ঐতিহাসিক এক সন্ধিক্ষণে আমরা পৌঁছেছি। গত ১৫ বছরে যখন আমরা গণতন্ত্রের কথা বলেছি, আমাদের গুম করা হয়েছে, আমাদের খুন করা হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, দেশছাড়াও করা হয়েছিল। এসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সেই খুনি হাসিনার সামনে ইস্পাত কঠিন মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ ও গোষ্ঠী, সেই ১৯৪৭ সাল থেকে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, তারা সেই পতাটা উড্ডীন করে রেখেছিল।’
‘কিন্তু গত নির্বাচনের পর যখন মানুষ আশাহত হয়েছিল, আমাদের সেই ছাত্র ভাইয়েরা আশার প্রতীক হয়ে জনগণের সামনে উদায় হয়েছিল। তাই যেসব রাজনৈতিক নেতারা, দল-পক্ষ-গোষ্ঠী গত ১৫ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন, গণগ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন, দেশছাড়া হয়েছেন, জীবনের আর্থিক মূল্য খুইয়েছেন, আমরা তাদের আজকের এই মঞ্চ থেকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
‘আজ এখানে বিপ্লবী জনতা যথাসময়ে উপস্থিত হয়েছেন। আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি যে আমরা আপনাদের সামনে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারিনি। আজ এখানে সারা বাংলাদেশ থেকে সবাই এখানে উপস্থিত হয়েছেন। গতকাল থেকে রওয়ানা দিয়ে, চট্টগ্রাম থেকে, রংপুর থেকে, সিলেট থেকে, রংপুর থেকে এই জনসমুদ্রে উপস্থিত হয়েছেন। আপনাদের এই কষ্টকে আমরা স্যালুট করি। আপনাদের আমরা কোনো টাকা-পয়সা দিয়ে আনি নাই, কোনো লোভ দেখিয়ে এই জনসমুদ্রে উপস্থিত করি নাই। কিন্তু আপনাদের আমরা একটি জিনিস দেখাতে সক্ষম হয়েছিলাম— নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন, নতুন বাংলাদেশের আশা, নতুন বাংলাদেশের জাগরণ।’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। ছবি: ভিডিও থেকে
‘এই জাগরণে আজ আপনারা ঐতিহাসিক পার্লামেন্টের সামনে উপস্থিত হয়েছেন, যে পার্লামেন্টের সামনে থেকে ছাত্র-জনতা ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছিল। আমরা আজ সেই ঐতিহাসিক একটি সময়ে এসে একই পার্লামেন্টের সামনে একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি। গত ৫৩ বছরে যে রাজনৈতিক ইনস্টিটিউশনগুলো রয়েছিল, স্টেটের ইনস্টিটিউশনগুলো রয়েছিল, কোনো সিস্টেম কাজ করছে না বর্তমানে, এমন অবস্থায় ছাত্র-তরুণদের একটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।’
‘এই বাচ্চাগুলো যখন রাজপথে রক্ত দিয়েছিল, বাহাত্তরের সংবিধান বাচ্চাগুলোর জান বা রক্ত কোরবানিকে কোনোভাবে ফেরাতে পারে নাই। এই মানুষগুলো যখন রাজপথে রক্ত দিয়েছিল, বাংলাদেশের যে সিস্টেমগুলো রয়েছে, সেগুলো আমাদের ভাইদের বাঁচাতে পারে নাই। আমাদের ভাইয়ের বুকগুলো পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল। এমন কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ছিল না, যারা আমাদের ভাইদের বুক রক্ষা করতে পেরেছিল।’
‘এই জন্য আমরা আজকের এই মাহেন্দ্রক্ষণ-সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, সব শহিদ পরিবার ও আহতদের উপস্থিতিতে, রাজনৈতিক নেতা-কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে, সারা বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির লড়াকু যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে, সন্ধ্যার এই সময়ে একটু পরে আমরা একটি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে যাচ্ছি। এই দল গঠনের পাটাতনে দুটি দল কাজ করেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।’
বিকেল ৫টা ৪২ মিনিট: বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
‘আমরা দীর্ঘ দেড় দশকের আওয়ামী জাহিলিয়াতের শাসনের পর আজ আমরা মুক্ত বাংলাদেশে বাস করছি। যে সংসদ ভবনকে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সেই সংসদ ভবনে যাওয়ার জন্য আজ আমরা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এসে দাঁড়িয়েছি। দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে ছিল বিচারহীনতার সংস্কৃতি।’
‘আমরা ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের কবর রচনা করেছি। আমরা বলতে চাই, গণভবনে কে যাবে সেটি নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ থেকে, ভারত থেকে সেটি নির্ধারিত হবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সংসদে কে যাবে সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া জনতা। এই সংসদের মসনদে কে বসবে সেটি নির্ধারণ করবে এই ভূখণ্ডের মধ্যে যারা রয়েছে সেই মানুষ।’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: ভিডিও থেকে
‘দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আমরা জাতি গড়ে তুলতে পারি নাই। বিভাজনের রাজনীতি আমাদের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে জিইয়ে রাখা হয়েছে। আমরা স্টেট ডেভেলপ করতে পারি নাই, ন্যাশন ডেভেলপ করতে পারি নাই। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে গিয়েছে। আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারি নাই, আমরা ফাংশনাল ব্যুরোক্রেসি নিশ্চিত করতে পারি নাই। আমরা স্বাধীন পুলিশ নিশ্চিত করতে পারি নাই। স্বাধীন বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে পারি নাই। আমরা স্বাধীনতার এত বছর পরও তরুণ প্রজন্ম একটা ইনস্টিটিউশন প্রোপারলি ফাংশন করতে দেখি নাই।’
‘আমরা আপনাদের কাছে কমিটমেন্ট দিতে চাই, এই তরুণ প্রজন্ম, আমরা ইনস্টিটিউশনগুলোকে প্রোপারলি ফাংশনাল করব। আমরা কমিটমেন্ট দিতে চাই, বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে একতার রাজনীতি আমরা বাংলাদেশে চালু করব। আমরা স্টেট ডেভেলপ করব। বিদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে, কিন্তু কোনো প্রেসক্রিপশনের সম্পর্ক থাকবে না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমাদের যখন একটা ছেলে রাস্তায় রক্ত দেওয়া শিখে গিয়েছে, আমাদের কেউ রক্ত দেওয়া থেকে দমায়ে রাখতে পারবে না।’
বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিট: বক্তব্য রাখেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ মাত্র ছয় বছর বয়সী জাবিরের বাবা।
‘আমার পরিচয়— ঢাকা উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে ছোট ছয় বছর বয়সী শহিদ জাবিরের বাবা। আমার শিশু নিরাপত্তায় ছিল না। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আমি বলব সিরিয়াল কিলার। ১৫ বছর আগে ৫৭ জন আর্মি অফিসারকে হত্যা করে তিনি হত্যাযজ্ঞ শুরু করেন, ৫ আগস্ট আমার ছেলেকে হত্যার মধ্য দিয়ে শেষ করেন। সুতরাং তিনি সিরিয়াল কিলার।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ জাবিরের বাবা। ছবি: ভিডিও থেকে
‘এই দেশে একাত্তরে যেভাবে রক্তক্ষরণ হয়েছিল, সেই রক্তক্ষরণ আর চাই না। নব্বইয়ে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে, সেই রক্তক্ষরণ আর চাই না। চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে, সেই রক্তক্ষরণ আর চাই না। তরুণদের দলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা থাকবে, সমর্থন থাকবে, তারা যেন আমাদের নতুন বাংলাদেশ উপহার দেয়। আমি চাইব, এই দল আমার দেশ যেন এই দলের কাছে নিরাপদ থাকে। আমাদের সব শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে এই দলের প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থন জানাই।’
বিকেল ৫টা ৩১ মিনিট: বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
‘বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবে আমরা বারবার প্রতারিত হয়েছি। ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পরও ২৪ বছর পাকিস্তানিদের কাছে নির্যাতিত-শোষিত হয়েছি। আমাদের একাত্তরের বীর শহিদেরা জীবন দিয়েছিলেন, লাখো মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন শুধু স্বাধীনতার প্রশ্নে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে তারা জীবন দিয়েছিলেন। কিন্তু বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের মধ্যেই দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।...’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন হান্নান মাসুদ। ছবি: ভিডিও থেকে
‘আমরা দেখেছি, বিরোধীমতের কারণে কীভাবে এ দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন, গুম-খুন চলেছে। তারপর বাংলাদেশের মানুষ এই মঞ্চে উপবিষ্ট তরুণদের নেতৃত্ব মেনে নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে একটি সফল গণঅভ্যুত্থান পরিচালনা করে। তার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ও তার দুঃশাসনের সঙ্গীরা পালিয়ে তাদের দাদাবাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।’
‘আমরা আমাদের নতুন দলের পক্ষ থেকে কথা দিচ্ছি, আগামীর বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশে তরুণরা নেতৃত্ব দিয়ে চাঁদাবাজ, দখলবাজমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম করবে, করবে, করবেই। আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচনের আগে দলে দলে সংঘাত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা তরুণরা ঘটতে দেবে না। আগামীর বাংলাদেশে সবাই দলমত নির্বিশেষে সবাই বসবাস করবে।’
বিকেল ৫টা ২৮ মিনিট: বক্তব্য রাখছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম।
‘মহান এ মুহূর্তে শুধু এটাই বলতে চাই— সামনের বাংলাদেশ হবে ঐক্যের, সামনের বাংলাদেশ হবে প্রশান্তির, সামনের বাংলাদেশ হবে সুস্থতার। রাজনৈতিক সুস্থ প্রতিযোগিতা হোক আমাদের মধ্যে। ভালো কাজের প্রতিযোগিতা হোক। যখনই জাতির প্রশ্ন আসবে, তখনই যেন দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য সামনে দেখতে পাই।’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন নুসরাত তাবাসসুম। ছবি: ভিডিও থেকে
‘আমার সামনে আপামর জনতার সঙ্গে অনেক প্রবীণ রাজনীতিবিদ দেখতে পাচ্ছি। সবার কাছে দোয়া চাই, ভালোবাসা চাই, শুভকামনা চাই। আমরা তরুণ। অনেক বড় দায়িত্ব হাতে নিয়ে এগাতে যাচ্ছি। আপনারা আমাদের প্রতি দোয়া রাখবেন, শুভকামনা জানাবেন। আপামর জনতাকে বলতে চাই, যে নতুন দায়বদ্ধতা নিয়ে আমরা রাস্তায় নামছি, আপনাদের সামনে আসছি, আমরা আজীবন-আমৃত্যু সেই দায়বদ্ধতা পালন করে যাব।’
বিকেল ৫টা ১৯ মিনিট: বক্তব্য রাখছেন আরিফ সোহেল…
‘নতুন একটি সূচনালগ্নের সাক্ষী হতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে হাজির হয়েছেন, সবাইকে জানাই বিপ্লবী সালাম ও শুভেচ্ছা। ৫ আগস্ট বিপ্লবী ছাত্র-জনতা যুগের অধিক সময় জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদকে উচ্ছেদ করে নতুন দিনের সূচনা করেছে। আমাদের এই পূর্ববঙ্গ ঐতিহাসিকভাবেই বিদ্রোহ ও বিপ্লবের অঞ্চল। ঔপনিবেশিক শাসনের সময় থেকে শুরু করে বারবার দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতাকে শাসন-শোষণ করার বন্দোবস্ত কায়েম করা হয়েছে। কিন্তু জনগণ কখনো মাথা নত করেন নাই। তারা বারবার জেগে উঠেছেন। তারা ১৮৫৭ সালে জেগে উঠেছেন, সাতচল্লিশে জেগে উঠেছেন, একাত্তরে জেগে উঠেছেন, নব্বইয়ে জেগে উঠেছেন।’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন আরিফ সোহেল। ছবি: ভিডিও থেকে
‘দেশের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলার নিজস্ব অর্থনীতি, নিজস্ব সমাজ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিকাশের পথে যে বৈদেশিক আধিপত্যবাদ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, যে আধিপত্যবাদের এজেন্টরা আমাদের ওপর চেপে বসেছিল, জনগণকে সাথে নিয়ে ধর্ম, বর্ণ, মতপথের ঊর্ধ্বে উঠে আগস্টে আমরা সেই দানবকে তাড়িয়েছি।’
‘বাংলাদেশের কৃষকের ছেলে, শ্রমিকের ছেলে, মজুরের ছেলে সামনের বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। ২০২৪ সালের এটাই নতুন বন্দোবস্ত। আমাদের রক্তের দাম এটাই। আমাদের রক্তের দায়ভার এটাই। এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করতে দরকার নতুন রাজনৈতিক শক্তি।... জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে আজ জনগণের নতুন এই রাজনৈতিক দলে উত্থান ঘটতে যাচ্ছে।’
বিকেল ৫টা ১২ মিনিট: আরও একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন। দেশের ইতিহাস থেকে শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি গড়ে ওঠার পটভূমি পর্যন্ত ঘটনাবলি প্রদর্শন করা হয় এই তথ্যচিত্রে।
বিকেল ৫টা ৮ মিনিট: জুলাই অভ্যুত্থানের নায়কেরা মঞ্চে। নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সামান্তা শারমিনসহ অন্যরা মঞ্চে উপস্থিত হন।
নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সামান্তা শারমিনসহ অন্যরা মঞ্চে। ছবি: ভিডিও থেকে
বিকেল ৫টা ৩ মিনিট: জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন।
বিকেল ৫টা ১ মিনিট: বক্তব্য রাখেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসনাত অপু।
‘অনেকে বলছে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গণঅভ্যুত্থানে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০১৫ সালে রাজপথ দখল করে নো ভ্যাট আন্দোলন সফল করে অধিকার আদায় করে নিয়েছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর ২০১৮ সালে এবং ২০২৪ সালেও পিছুপা হয়নি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন শাহরিয়ার হাসনাত তপু। ছবি: ভিডিও থেকে
‘আমাদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা যেভাবে স্বার্থহীনভাবে লড়ে যাচ্ছে দেশের জন্য, আমরা এই নতুন রাজনৈতিক সংগঠনকে ঐকবদ্ধ করে, সব ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে একসঙ্গে নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য লড়ে যাব। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে সবার সামনে থাকবে ইনশাল্লাহ।’
বিকেল ৫টা: জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। মঞ্চ থেকে তাদের স্বাগত জানিয়ে অতিথিদের নির্ধারিত আসনে বসতে বলা হয়।
নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: ভিডিও থেকে
বিকেল ৪টা ৪২ মিনিট: বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাহিন সরকার।
‘জাতীয় নাগরিক পার্টি মনে করে, সব শহিদের স্বপ্ন ও আহতদের স্পিরিট, সেই স্পিরিট ধারণ করে বাংলাদেশকে সামনে কীভাবে নেওয়া যায়, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ-বিপক্ষ রয়েছে। মতাদর্শ নিয়ে সাময়িক দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু জাতীয় ঐক্য সার্বভৌমত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মাহিন সরকার। ছবি: ভিডিও থেকে
‘তাই যখন জাতীয় ঐক্যের প্রশ্ন আসে, সার্বভৌতত্বের প্রশ্ন আসে, তখন এক থাকা থাকা প্রয়োজন। আমার দল জাতীয় নাগরিক পার্টি এ ক্ষেত্রে সামনে থেকে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ রাখি। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’
বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিট: বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুল্লাহ হায়দার।
‘বাংলাদেশর ৫৩ বছরের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। তারুণের নেতৃত্বে এত বড় একটি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে যাচ্ছি আমরা। কারণ, ৫৩ বছরে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
শুক্রবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সাইফুল্লাহ হায়দার। ছবি: ভিডিও থেকে
‘যারা এই তারুণ্যের জাগরণকে সংহতি জানাতে এসেছেন, সবাইকে বিপ্লবী শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই তারুণ্যের নেতৃত্বেই আমরা আগামীতে মানুষের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করব, যা আমরা ৫৩ বছরে করতে পারিনি। সবাইকে একাত্ম হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমন্ত্রিত অতিথিসহ সবাইকে আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে নতুন দলের দলের সহযাত্রী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিকেল ৪টা ২৯ মিনিট: সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন। এ সময় সমাবেশস্থলে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন। ছবি: ভিডিও থেকে
বিকেল ৪টা ২৬ মিনিট: বাইবেল থেকে পাঠ করেন অলিক মৃ।
বিকেল ৪টা ২৪ মিনিট: ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন আবির বড়ুয়া।
বিকেল ৪টা ২২ মিনিট: শ্রীমদ্ভগবদ গীতা থেকে পাঠ করেন অর্পিতা শ্যামা দেব।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিট: কোরআন শরিফ থেকে তেলওয়াত করেন তারেক রেজা। এর মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু।
',tags:[],news_slug:"cx0le0fbce",story_type:"Story",watermark:null}}},video:{},photo:{},home:{loading:"IDLE",collections:[],error:null},section:{},tag:{},author:{}}