শাহরিয়ার শরীফ
মমতাজ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পরিচিত একটি নাম। তিনি অসাধারণ জনপ্রিয় লোকশিল্পী। দেশে বা বিদেশে থাকা বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক নাগরিক কোনো না কোনোভাবে তার গান শুনেছেন। কখনও ঢাকার লোকাল বাসে বা বিদেশের মাটিতে, কখনও আবার জাতীয় অনুষ্ঠানে বা জাতীয় সংসদে।
শিল্পী মমতাজ বেগম ‘মমতাজ’ নামেই পরিচিত। তিনি ১৯৬১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরের জয়মন্টপ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মধু বয়াতি ছিলেন বাউল গায়ক। ছোটবেলা থেকেই বাবার প্রভাবে মমতাজ গান গাইতে শুরু করেন। এরপর থেকে তিনি প্রায় ৭০০ অ্যালবামে গান গেয়েছেন।
মমতাজের মতে, তার প্রথম দিকের অ্যালবামগুলো তিনি নিজ খরচে প্রকাশ করতেন। পরবর্তীতে প্রযোজকেরা তার গান বের করতে শুরু করেন। তবে তারা তাকে খুব কম পারিশ্রমিক দিতেন, অ্যালবাম যতই জনপ্রিয় হোক না কেন।
তার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হয়ে ওঠে ‘নান্টু ঘটক’, ‘মরার কোকিল’, ‘লোকাল বাস’ এবং ‘পাংখা পাংখা’র মতো হিট গানের মাধ্যমে। হালকা বিনোদনের জন্য এই গানগুলো আজও বিশেষ অনুষ্ঠান বা আনন্দঘন পরিবেশে নাচের সঙ্গী হয়। মমতাজের খ্যাতির কারণে তাকে প্রায়ই কনসার্ট ও জাতীয় অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার অনুরোধ করা হতো। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও গান গেয়েছেন।
তার জনপ্রিয় গানের কথা শোনা যায় আদালত চত্বরেও। মমতাজকে মঙ্গলবার আদালতে তোলার সময় বিক্ষুব্ধ কিছু আইনজীবী ‘ফাইট্টা যায়’ স্লোগান দিয়ে মমতাজের দিকে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেন।
গত ১২ মে মমতাজকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে খুন এবং খুনের চেষ্টা। গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন এবং জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
তুমুল খ্যাতির মাঝেও বিতর্ক তাকে পিছু ছাড়েনি। ২০০৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এক ইভেন্ট সংগঠক শক্তিশঙ্কর বাগচী অভিযোগ করেন, মমতাজ ২০০৮ সালে একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য ১৪ লাখ রুপি নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অনুষ্ঠানে যাননি এবং টাকাও ফেরত দেননি।
তিনি নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেলেও বাদি কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেন ২০১০ সালে। মমতাজ তিনবার আগাম জামিন নেন। কিন্তু আবারও আদালতে হাজির না হওয়ায় ২০২৩ সালে নতুন করে আরেকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
এরপর ২০২১ সালে তিনি আরেকটি বিতর্কে জড়ান। অভিযোগ ওঠে, তিনি ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি থেকে একটি সম্মানসূচক ডক্টরেট গ্রহণ করেন। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের স্বীকৃত নয়।
একনামে পরিচিত মমতাজের এমন ডিগ্রি কেনো প্রয়োজন তা অনেকেরই বোধগম্য নয়। রাজনীতিতে নেমে তার লাভ না ক্ষতি হয়েছে সেটিও প্রশ্নসাপেক্ষ।
মমতাজ ‘বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’-এ সেরা নারী প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে তিনবার পুরস্কৃত হয়েছেন। তার জীবনের উপর ভিত্তি করে একটি বায়োপিক ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়।
২০২৩ সালে সংসদের বাজেট অধিবেশনে মমতাজ গান শুরু করলে তুমুল করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান সংসদ সদস্যরা।
গানটির কথা ছিল এমন, ‘লোকে বলে বাংলায় যত দিন রবে, ওই পদ্মা মেঘনা বহমান/তত দিন রবে কীর্তি তোমার তুমি শেখ মুজিবুর রহমান/ আমি বলি, না না লোকে তো জানে না, ওই কীর্তি রবে তোমার কত দিন/ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নও, তুমি শ্রেষ্ঠ রবে ওই তত দিন, ওই চন্দ্র রবে যত দিন, ওই সূর্য রবে যত দিন...।’
নিজের বক্তব্যের শেষে মমতাজ সরকারের উন্নয়ন নিয়ে গান গেয়ে শোনান। সেই গানের কথাগুলো হচ্ছে, ‘ওরে রাখব ধরে এই উন্নয়ন আমরা দেশের জনতা/ শেখ হাসিনার হাতে আবার দিয়ে ক্ষমতা/ পদ্মা সেতু পদ্মা নদীতে/ এগিয়ে চলছে দেশ দ্রুতগতিতে…’
বিদ্যুৎ ফেরি করতে হবে-মমতাজের এমন বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রূপ শুরু হয়। এ বিষয়েও সংসদে বক্তব্য দেন মমতাজ। তিনি বলেন, যারা সরকারের ভালোকে দেখতে পারে না, তারা নানাবিধ কুকথা এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার দিনরাত চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ দিয়েছে। মানুষ সুখে-শান্তিতে আছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ না গেলে এটা সম্ভব হতো না। বিদ্যুৎ দেওয়া না গেলে পোশাকশিল্পের এত সফলতা দেখানো যেত না।
তবে গান গাওয়ার বাইরেও তিনি তার অসাধারণ মানবিক কাজের জন্য ভক্তদের আরো ভালোবাসা অর্জন করেন। তিনি মানিকগঞ্জে নিজ গ্রামে একটি চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগে তাকে সহযোগিতা করে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংস্থা। এই দানশীল কাজটি তিনি তার বাবার স্মরণে করেন, যিনি দরিদ্রতার কারণে ছানি অপারেশন করাতে পারেননি।
মমতাজ শুধু গানের জগতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি রাজনীতিতেও অংশ নেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনেও তিনি জয়লাভ করেন। রাজনীতিতে নামার পর বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তার কথা ও কাজ নিয়ে প্রচুর ট্রল হয়।
তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হেরে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ তুলুর কাছে।
এই কিংবদন্তির এমন করুণ পরিণতি খুবই দুঃখজনক। একজন লোকসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তিনি যেমন ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন, তেমনই ভুলের কারণে এবং নানা বিতর্কে জড়িয়ে তিনি এখন জেলে। বিচারে প্রমাণ হবে তিনি দোষী না নির্দোষ। কিন্তু তার সুনাম, ক্যারিয়ার, স্বাস্থ্য-সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে মমতাজ জেলে থাকলেও তার কন্ঠ ভেসে বেড়াবে দেশ-বিদেশে, সিনেমা-নাটকে ও আলোচনা-সমালোচনার জগতে।
মমতাজ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পরিচিত একটি নাম। তিনি অসাধারণ জনপ্রিয় লোকশিল্পী। দেশে বা বিদেশে থাকা বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক নাগরিক কোনো না কোনোভাবে তার গান শুনেছেন। কখনও ঢাকার লোকাল বাসে বা বিদেশের মাটিতে, কখনও আবার জাতীয় অনুষ্ঠানে বা জাতীয় সংসদে।
শিল্পী মমতাজ বেগম ‘মমতাজ’ নামেই পরিচিত। তিনি ১৯৬১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরের জয়মন্টপ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মধু বয়াতি ছিলেন বাউল গায়ক। ছোটবেলা থেকেই বাবার প্রভাবে মমতাজ গান গাইতে শুরু করেন। এরপর থেকে তিনি প্রায় ৭০০ অ্যালবামে গান গেয়েছেন।
মমতাজের মতে, তার প্রথম দিকের অ্যালবামগুলো তিনি নিজ খরচে প্রকাশ করতেন। পরবর্তীতে প্রযোজকেরা তার গান বের করতে শুরু করেন। তবে তারা তাকে খুব কম পারিশ্রমিক দিতেন, অ্যালবাম যতই জনপ্রিয় হোক না কেন।
তার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হয়ে ওঠে ‘নান্টু ঘটক’, ‘মরার কোকিল’, ‘লোকাল বাস’ এবং ‘পাংখা পাংখা’র মতো হিট গানের মাধ্যমে। হালকা বিনোদনের জন্য এই গানগুলো আজও বিশেষ অনুষ্ঠান বা আনন্দঘন পরিবেশে নাচের সঙ্গী হয়। মমতাজের খ্যাতির কারণে তাকে প্রায়ই কনসার্ট ও জাতীয় অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার অনুরোধ করা হতো। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও গান গেয়েছেন।
তার জনপ্রিয় গানের কথা শোনা যায় আদালত চত্বরেও। মমতাজকে মঙ্গলবার আদালতে তোলার সময় বিক্ষুব্ধ কিছু আইনজীবী ‘ফাইট্টা যায়’ স্লোগান দিয়ে মমতাজের দিকে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেন।
গত ১২ মে মমতাজকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে খুন এবং খুনের চেষ্টা। গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন এবং জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
তুমুল খ্যাতির মাঝেও বিতর্ক তাকে পিছু ছাড়েনি। ২০০৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এক ইভেন্ট সংগঠক শক্তিশঙ্কর বাগচী অভিযোগ করেন, মমতাজ ২০০৮ সালে একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য ১৪ লাখ রুপি নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অনুষ্ঠানে যাননি এবং টাকাও ফেরত দেননি।
তিনি নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেলেও বাদি কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেন ২০১০ সালে। মমতাজ তিনবার আগাম জামিন নেন। কিন্তু আবারও আদালতে হাজির না হওয়ায় ২০২৩ সালে নতুন করে আরেকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
এরপর ২০২১ সালে তিনি আরেকটি বিতর্কে জড়ান। অভিযোগ ওঠে, তিনি ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি থেকে একটি সম্মানসূচক ডক্টরেট গ্রহণ করেন। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের স্বীকৃত নয়।
একনামে পরিচিত মমতাজের এমন ডিগ্রি কেনো প্রয়োজন তা অনেকেরই বোধগম্য নয়। রাজনীতিতে নেমে তার লাভ না ক্ষতি হয়েছে সেটিও প্রশ্নসাপেক্ষ।
মমতাজ ‘বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’-এ সেরা নারী প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে তিনবার পুরস্কৃত হয়েছেন। তার জীবনের উপর ভিত্তি করে একটি বায়োপিক ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়।
২০২৩ সালে সংসদের বাজেট অধিবেশনে মমতাজ গান শুরু করলে তুমুল করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান সংসদ সদস্যরা।
গানটির কথা ছিল এমন, ‘লোকে বলে বাংলায় যত দিন রবে, ওই পদ্মা মেঘনা বহমান/তত দিন রবে কীর্তি তোমার তুমি শেখ মুজিবুর রহমান/ আমি বলি, না না লোকে তো জানে না, ওই কীর্তি রবে তোমার কত দিন/ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নও, তুমি শ্রেষ্ঠ রবে ওই তত দিন, ওই চন্দ্র রবে যত দিন, ওই সূর্য রবে যত দিন...।’
নিজের বক্তব্যের শেষে মমতাজ সরকারের উন্নয়ন নিয়ে গান গেয়ে শোনান। সেই গানের কথাগুলো হচ্ছে, ‘ওরে রাখব ধরে এই উন্নয়ন আমরা দেশের জনতা/ শেখ হাসিনার হাতে আবার দিয়ে ক্ষমতা/ পদ্মা সেতু পদ্মা নদীতে/ এগিয়ে চলছে দেশ দ্রুতগতিতে…’
বিদ্যুৎ ফেরি করতে হবে-মমতাজের এমন বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রূপ শুরু হয়। এ বিষয়েও সংসদে বক্তব্য দেন মমতাজ। তিনি বলেন, যারা সরকারের ভালোকে দেখতে পারে না, তারা নানাবিধ কুকথা এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার দিনরাত চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ দিয়েছে। মানুষ সুখে-শান্তিতে আছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ না গেলে এটা সম্ভব হতো না। বিদ্যুৎ দেওয়া না গেলে পোশাকশিল্পের এত সফলতা দেখানো যেত না।
তবে গান গাওয়ার বাইরেও তিনি তার অসাধারণ মানবিক কাজের জন্য ভক্তদের আরো ভালোবাসা অর্জন করেন। তিনি মানিকগঞ্জে নিজ গ্রামে একটি চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগে তাকে সহযোগিতা করে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংস্থা। এই দানশীল কাজটি তিনি তার বাবার স্মরণে করেন, যিনি দরিদ্রতার কারণে ছানি অপারেশন করাতে পারেননি।
মমতাজ শুধু গানের জগতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি রাজনীতিতেও অংশ নেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনেও তিনি জয়লাভ করেন। রাজনীতিতে নামার পর বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে তার কথা ও কাজ নিয়ে প্রচুর ট্রল হয়।
তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হেরে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ তুলুর কাছে।
এই কিংবদন্তির এমন করুণ পরিণতি খুবই দুঃখজনক। একজন লোকসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তিনি যেমন ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন, তেমনই ভুলের কারণে এবং নানা বিতর্কে জড়িয়ে তিনি এখন জেলে। বিচারে প্রমাণ হবে তিনি দোষী না নির্দোষ। কিন্তু তার সুনাম, ক্যারিয়ার, স্বাস্থ্য-সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে মমতাজ জেলে থাকলেও তার কন্ঠ ভেসে বেড়াবে দেশ-বিদেশে, সিনেমা-নাটকে ও আলোচনা-সমালোচনার জগতে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক দিনের সফরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। বুধবার (১৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ করায় রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
১ দিন আগেরাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
২ দিন আগেজামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি চলছে।
২ দিন আগে