জনগণের পকেট কাটার নীতি নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: সিপিবি

খোলা ট্রাকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি, ৪৩ লাখ পরিবারের টিসিবি কার্ড বাতিল ও বিভিন্ন পণ্যে বাড়তি কর-শুল্ক আরোপে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বৈরাচারী সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তুলনা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) পার্টির সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সরকারের এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ জানান।
সিপিবি নেতারা বলেন, জনজীবনের সংকট নিরসনের জন্য মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের বিলোপ, সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের দোকান চালুর দাবি বাস্তবায়ন না করে সরকার টিসিবির কর্মসূচির ট্রাক সেল বন্ধ করাসহ ৪৩ লাখ পরিবার কার্ড বাতিল করেছে। এর মাধ্যমে প্রায় অর্ধ কোটি পরিবারেরকে কম মূল্যে পণ্য দেওয়া থাকে বঞ্চিত করার সরকারের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে সিপিবির শীর্ষ দুই নেতা বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের ওপর অপ্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিস্কুটের মতো দৈনন্দিন খাবার, সাধারণ হোটেল, মোবাইল রিচার্জ, গ্যাসসহ অপরিহার্য পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে।
তারা আরও বলেন, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও আইএমএফের চাপে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রান্তিক, স্থায়ী উপার্জনকারী ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা দেশের অর্থনীতিতেও সংকট তৈরি করবে। এসব সিদ্ধান্ত প্রকারান্তরে স্বৈরাচারী সরকারের মতো জনগণের পকেট কাটার নীতি, যা নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বিবৃতিতে অবিলম্বে সরকারের এসব সিদ্ধান্ত বাতিল, বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা, খেলাপি ঋণ আদায় ও প্রয়োজনে ধনীদের ওপর বিশেষ কর আরোপের আহ্বান জানান সিপিবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
আরেক বিবৃতিতে ময়মনসিংহে মাজারে হামলা, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে অনুষ্ঠান পন্ডসহ বিভিন্ন স্থানে ‘মব’-এর নামে অরাজকতার তীব্র নিন্দা জানান শাহ আলম ও রুহিন হোসেন প্রিন্স। অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত ও এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এবং জনজীবনের নিরাপত্তা বিধানের দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে জনজীবনের সংকট নিরসন ও নিজস্ব দাবি আদায়ে সচেতন এবং সংগঠিত হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান হয়।