প্রশাসন বিএনপির পক্ষে কাজ করছে, এ অবস্থায় নির্বাচন সম্ভব নয় : নাহিদ

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৯: ৩১

মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বলেছেন, প্রশাসন অনেক জায়গাতেই বিএনপির পক্ষে কাজ করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি বহাল থাকলে এই প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকায় সফররত মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, বর্তমান সময়ে যে মাঠ প্রশাসন রয়েছে, সেই মাঠ প্রশাসন মনে হচ্ছে নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চলছে। সেসব জায়গায় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

এনসিপি আহ্বায়ক আরও বলেন, আমরা দেখছি, প্রশাসন অনেক জায়গায় বিএনপির পক্ষ অবলম্বন করছে। মাঠপর্যায়ে যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে, সেই জায়গাতেও প্রশাসন আসলে নীরব ভূমিকা পালন করছে।

‘তাই আমরা বলেছি, এ ধরনের প্রশাসন যদি থাকে, তাহলে এর অধীনে নির্বাচন করাটা সম্ভব নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন, আমলাতন্ত্র ও পুলিশ নিশ্চিত করতে হবে,’— বলেন নাহিদ ইসলাম।

মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে— জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে আমরা যে প্রস্তাবনাগুলো সংস্কার কমিশনে দিয়েছি, সেগুলোর কথা আমরা তুলে ধরেছি। আমরা আমাদের তিনটি দাবির কথা বলেছি— সংস্কার, বিচার ও গণপরিষদ নির্বাচন।’

এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি যে এখানে ন্যূনতম সংস্কার নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য আমরা কাজ করছি। এই পরিবর্তনগুলো ছাড়া নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সে রকম নির্বাচন হলে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করবে কি না, সেটাও বিবেচনাধীন থাকবে।’

সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে এনসিপির বিপরীতে অবস্থান রাজনৈতিক দল বিএনপির। দলটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করে আসছে। সংস্কার ইস্যুতে ইতিবাচক জানিয়ে দলটি বলছে, সংস্কার ও নির্বাচন পাশাপাশিই চলতে পারে। সব রাজনৈতিক দল যেসব সংস্কার প্রস্তাবে রাজি হবে সেগুলো জুলাই চার্টার আকারে গ্রহণ করে তার ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে পারে। বাকি সংস্কারগুলো হবে নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে।

নির্বাচনি রোডম্যাপ চেয়ে বুধবার দুপুরে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তবে সেই সাক্ষাতে বিএনপি সন্তুষ্ট হতে পারেনি।

সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনো নির্বাচনি রোডম্যাপ তুলে ধরেননি। ফলে তারা নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থানে মোটেও সন্তুষ্ট নন। তারা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চান।

ওই বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও। বিএনপির দাবি থাকলেও তিনি নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা তথা সরকারের আগের অবস্থানেরই পুনরাবৃত্তি করেন।

আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী জুনের মধ্যেই হবে। জুলাই চার্টারের সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের ওপর এর সময় নির্ভর করবে। তবে যে যাই বলুক, নির্বাচন (২০২৫ সালের) জুনের পরে যাবে না।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এই সময়ের মধ্যে যত দ্রুতসম্ভব নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করা হবে। ডিসেম্বরে সম্ভব হলে ডিসেম্বরেই হতে পারে নির্বাচন। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আয়োজনের কোনো প্রবণতা সরকারের কারও মধ্যে নেই।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

সুখবর পেলেন বিএনপির ২৮ নেতা

এতে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।

১৪ ঘণ্টা আগে

মৃত্যুদণ্ডই শেখ হাসিনার উপযুক্ত বিচার : আখতার

ভিডিও বার্তায় আখতার হোসেন বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডই শেখ হাসিনার জন্য উপযুক্ত বিচার। এই রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচার করা সম্ভব হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রায় সরকারকে কার্যকর করতে হবে।’

১৫ ঘণ্টা আগে

ধৈর্য, সতর্কতা ও ঐক্য বজায় রাখুন : জামায়াত আমির

পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, এই সংকটময় সময়ে আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- আমাদের সংগ্রাম কারও বিরুদ্ধে নয়, আমাদের সংগ্রাম ন্যায়, অধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সব নাগরিক নিরাপদে মত প্রকাশ করতে পারে, যেখানে বিচার হবে নিরপেক্ষ এবং যেখানে পরিবর্তন আসবে শান্তিপূর্ণ

১৫ ঘণ্টা আগে

রাতে বৈঠকে বসছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি

দলীয় সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া অস্থিরতা, বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ–অসন্তোষের পরিস্থিতি এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা, এসব ইস্যু আজকের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।

১৫ ঘণ্টা আগে