রোডম্যাপ দেননি প্রধান উপদেষ্টা, একেবারেই সন্তুষ্ট নই: মির্জা ফখরুল\n
‘তাই আমরা বলেছি, এ ধরনের প্রশাসন যদি থাকে, তাহলে এর অধীনে নির্বাচন করাটা সম্ভব নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন, আমলাতন্ত্র ও পুলিশ নিশ্চিত করতে হবে,’— বলেন নাহিদ ইসলাম।
মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে— জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে আমরা যে প্রস্তাবনাগুলো সংস্কার কমিশনে দিয়েছি, সেগুলোর কথা আমরা তুলে ধরেছি। আমরা আমাদের তিনটি দাবির কথা বলেছি— সংস্কার, বিচার ও গণপরিষদ নির্বাচন।’
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি যে এখানে ন্যূনতম সংস্কার নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য আমরা কাজ করছি। এই পরিবর্তনগুলো ছাড়া নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সে রকম নির্বাচন হলে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করবে কি না, সেটাও বিবেচনাধীন থাকবে।’
সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে এনসিপির বিপরীতে অবস্থান রাজনৈতিক দল বিএনপির। দলটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করে আসছে। সংস্কার ইস্যুতে ইতিবাচক জানিয়ে দলটি বলছে, সংস্কার ও নির্বাচন পাশাপাশিই চলতে পারে। সব রাজনৈতিক দল যেসব সংস্কার প্রস্তাবে রাজি হবে সেগুলো জুলাই চার্টার আকারে গ্রহণ করে তার ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে পারে। বাকি সংস্কারগুলো হবে নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে।
নির্বাচনি রোডম্যাপ চেয়ে বুধবার দুপুরে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তবে সেই সাক্ষাতে বিএনপি সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
সাক্ষাৎ শেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনো নির্বাচনি রোডম্যাপ তুলে ধরেননি। ফলে তারা নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থানে মোটেও সন্তুষ্ট নন। তারা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চান।
ওই বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও। বিএনপির দাবি থাকলেও তিনি নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা তথা সরকারের আগের অবস্থানেরই পুনরাবৃত্তি করেন।
আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী জুনের মধ্যেই হবে। জুলাই চার্টারের সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের ওপর এর সময় নির্ভর করবে। তবে যে যাই বলুক, নির্বাচন (২০২৫ সালের) জুনের পরে যাবে না।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এই সময়ের মধ্যে যত দ্রুতসম্ভব নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করা হবে। ডিসেম্বরে সম্ভব হলে ডিসেম্বরেই হতে পারে নির্বাচন। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আয়োজনের কোনো প্রবণতা সরকারের কারও মধ্যে নেই।