আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি হেফাজতে ইসলামের

জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলের প্রতিবেদনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় জড়িত থাকার প্রমাণ উঠে আসায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পাশাপাশি দলটির নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, গুম-খুন ও গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচারকাজ ত্বরান্বিত করতে হবে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এ বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে আমির ও মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো তথ্য-প্রমাণসহ উঠে এসেছে। হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশে তার আজ্ঞাবাহী বাহিনীর সদস্যরা গুম-খুনে ও নির্যাতনে নৃশংসতার সব সীমা ছাড়িয়েছে।
শেখ হাসিনার বিচারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ‘দোসরদের’ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান হেফাজতে ইসলামের নেতারা। তারা বলেন, বিভিন্ন বাহিনীতে শেখ হাসিনার অনুগত চিহ্নিত দোসরদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব সুরক্ষিত হবে বলে আমরা মনে করি।
‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড’, ‘গুম-খুন’, ‘৫ মে’ ও ‘চব্বিশের গণহত্যার’ দায়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ করা না হলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এ দেশের সরকার ও জনগণকে একদণ্ডও শান্তিতে থাকতে দেবে না। তারা একের পর এক স্যাবোট্যাজ ঘটিয়ে ছাত্রনেতৃত্ব ও তৌহিদি জনতাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কালচারাল ঘরানার ফ্যাসিবাদপন্থি আওয়ামী লোকজন আবারও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। গণঅভ্যুত্থানের পক্ষগুলোর মধ্যে তারা বিভেদ-বিভক্তি ছড়িয়ে দিতে তৎপর।
ভারত এখনো শত্রুরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ দুই নেতা। তারা বলেন, হাসিনা-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে এখনো তারা মেনে নিতে পারছে না। বরং তাদের আশ্রয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে একের পর এক ষড়যন্ত্র করার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে।