দেড় দশক পর পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান\n
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া স্বাধীনতা আগের সম্পদের হিসাব করে ৪২০ কোটি মার্কিন ডলার ফেরত চেয়েছে ঢাকা। এ নিয়ে ইসলামাবাদ আলোচনায় রাজি হয়েছে।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছাড়াও আলোচনার টেবিলে ছিল যোগাযোগ, পরিবহন, শিক্ষা ও কৃষিসহ অন্যান্য ইস্যু। নানা বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনাকে দুপক্ষই ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।
পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি দৃঢ় করতে এ বিষয়গুলো সমাধান করা প্রয়োজন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, ১৫ বছর পর ঢাকা-ইসলামাবাদ আলোচনা শুরু হওয়ায় তারা এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরের কথা আছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব। বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন আমনা বালুচও। কেমন আলোচনা হয়েছে— গণমাধ্যমকর্মীদের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি এক কথায় জবাব দেন, ‘নাইস।’