top ad image
top ad image
home iconarrow iconঘরের রাজনীতি

ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশ করতে হবে: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশ করতে হবে: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

ভারতের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি অবিলম্বে জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। রবিবার (২৩ জুন) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সম্পাদিত কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, কিছু স্মারক নবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে কিছু যৌথ কার্যক্রমের যে ‘ঘোষণা’ দেওয়া হয়েছে তার কঠোর সমালোচনা করেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এসব সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে ফেলতে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী চক্রান্তের অংশ।’

বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ বছরের গোলামির চুক্তি করিয়ে ভারত যেভাবে বাংলাদেশকে বেধে ফেলার চক্রান্ত করেছিল তা বর্তমানেও অব্যাহত আছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি ভারতের দিল্লিতে সম্পাদিত হাসিনা--মনমোহন চুক্তির ধারাবাহিকতায় হাসিনা সরকার ভারতের সঙ্গে একের পর এক চুক্তি সম্পাদন করে চলেছে। যেসব চুক্তির ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখে। ট্রানজিটের নামে চুক্তি সম্পাদিত হলেও ভারত মূলত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাতায়াতের জন্য একে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করছে, যা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুন্ন করছে। এবারের সমঝোতা স্মারকে যে সমুদ্র সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতির কথা বলা হয়েছে, তা বঙ্গোপসাগরের ওপর ভারতের রণনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ করে দিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্রাজ্যবাদী ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় নিজ আধিপত্য বিস্তারে প্রতিবেশি দেশগুলোর আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অব্যাহত নাক গলিয়ে যাচ্ছে। এসব দেশে দিল্লির পদলেহী সরকার কায়েমে রয়েছে ভারতের নীল নকশা। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ২০০৯, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত খোলাখুলি হস্তক্ষেপ করেছে এবং বাংলাদেশের জনগণের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে আত্মসাৎ করেছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারত সরকার ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফকে দায়মুক্তি দিয়ে রেখেছে। যে বিএসএফ গত ১৫ বছরে কয়েক শ বাংলাদেশিকে সীমান্তে গুলি করে হত্যা করেছে। গুলি করে হত্যার পর কিশোরী ফেলানীকে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রেখেছে। এজন্য দায়ী বিএসএফ সদস্যের বিচার আজও হয়নি। সরকার এই ভারতের সঙ্গে যে কী সীমান্ত ব্যবস্থাপনা করবে তা বুঝতে জ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।’

‘একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে আমাদের পথ দেখানোর জন্য উভয় দেশই “রূপকল্প ঘোষণা” অনুমোদন করেছে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে অবিলম্বে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত সব গোপন চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করার জোর দাবি জানিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ ও স্থায়ী সম্পর্কের’ নামে এসব চুক্তি বাংলাদেশকে সিকিম কিংবা ভুটানের মর্যাদায় নিয়ে যাবে কিনা তা জানার অধিকার নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে।

r1 ad
r1 ad
top ad image