ডা. জাহিদের বক্তব্য প্রসঙ্গে ইউনাইটেড হাসপাতাল
খালেদা জিয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে পরে বাতিল করা হয়
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের অভিযোগ সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।
হাসপাতালের দাবি, ওই দিন রাতে প্রথমে অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হলেও পরে তা বাতিল করা হয়।
গত রোববার রাতে অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, "শুক্রবার রাতের বেলা, তখনঘড়িতে রাত ২টা ৮ মিনিট। ম্যাডামের এই খারাপ অবস্থায় আমি পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে(ইউনাইটেড হাসপাতাল) ম্যাডামকে ট্রান্সফার করতে একটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করেছিলাম। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমাকে বলা হলো— তাদের হাসপাতালের নিয়ম হচ্ছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি হলেই তারা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেবে। এটি অ্যাম্বুলেন্স বা জরুরি চিকিৎসার কোনও নিয়ম হতে পারে?"
জাহিদ হোসেন অভিযোগ করেন, "দুটি ইনজেকশনের জন্য অনুরোধ করেছি ইউনাইটেড হসপিটালের ডিউটি ম্যানেজার, চিকিৎসক-দায়িত্বশীলদের কাছে। কিন্তু তাও পেলাম না, এটার নাকি নিয়ম নাই। তাদের বক্তব্য ছিল, রোগী তো আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হবে না। অর্থাৎ রোগী যদি তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয় তাহলেই জরুরি চিকিৎসা পাবে, অন্যথায় পাবে না; এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।"
এ বিষয়ে সোমবার কথা হয় ইউনাইটেড হাসপাতালের কমিউনিকেশন এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার ডাঃ ফজলে রাব্বী খানের সঙ্গে।
রাজনীতি ডটকমকে ডা. রাব্বী বলেন, "ওই দিন রাত আনুমানিক ২ টার দিকে আমাদের কাস্টমারস রিলেশন ডিপার্টমেন্টে ৭৯ নাম্বার রোড থেকে একজন ভদ্রমহিলা ফোন করেন। তিনি বলেন, একজন পেশেন্ট আছেন, একটা নরমাল অ্যাম্বুলেন্স দরকার।"
তিনি বলেন, "তখন আমাদের এখান থেকে জিজ্ঞেস করা হয় কী অসুবিধা পেশেন্টের। তখন ওই ভদ্রমহিলা বললেন, ম্যাল উইকনেস, বোমেটিং অ্যান্ড লুজ মোশন। এটা শোনার পর সে অনুযায়ী আমাদের অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হয়।"
ফজলে রাব্বী খান বলেন, "নার্স ও পেশেন্ট কেয়ার সাপোর্ট আমরা প্রস্তুত করে যখন পাঠাবো তখন আরেকটা ফোন আসলো। বলা হয়, পেশেন্ট এখন যেতে চাচ্ছেন না।"
"এর কিছুক্ষণ পর আমাদের ডিউটি ডক্টরের কাছে ডা. জাহিদ সাহেবের পরিচয়ে আরেকটা ফোন আসে। উনি বললেন, ৭৯ নম্বর রোডে এখনই অ্যাম্বুলেন্স লাগবে। আমাদের ডিউটি ডক্টর সিআরডিকে বিষয়টি জানান। সিআরডি বলেন, ওনারা তো মাত্র ক্যানসেল করলেন। তখন আর পাঠানো হয়নি।"