অনুপ্রবেশকারীদের স্থান যুবদলে হবে না : জুয়েল
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল বলেছেন, ‘বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ভূমিকা রেখেছে, যারা রাজপথে ছিল, যারা ভয়ে পালিয়ে যায়নি, হামলা-মামলার শিকার হয়েছে, যুবদল তাদের মূল্যায়ন করবে। হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের স্থান যুবদলে হবে না।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় রাজধানী উত্তরার আজমপুরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর উত্তর শাখার ১ নম্বর ওয়ার্ড, উত্তরা পূর্ব থানা শাখা যুবদল, ঢাকা মহানগর উত্তর এর উদ্যোগে কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মিসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেন যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক তসলিম আহসান মাসুম ও আবুল হাসান টিটু।
শরীফ উদ্দীন জুয়েল বলেন, কর্মিসভার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মহানগরের সঙ্গে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সেতুবন্ধনের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী বাছাই করার প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে যারা দীর্ঘ ১৭ বছর হামলা-মামলার শিকার হয়েছে, জেল খেটেছে কিন্তু বিগত স্বৈরাচার সরকারের রক্তচক্ষুর সামনে মাথা নত করেনি তারাই দলে জায়গা পাবে।
যাদের কারণে সংগঠনের দুর্নাম হয় এমন কোনো ব্যক্তি যুবদলে স্থান পাবে না। কোনো হাইব্রিড এর স্থান যুবদলে নাই। যারা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিবে যুবদল তাদেরও চিহ্নিত করে রাখবে। দলের নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে তারা বিএনপির কেউ না তারা দুর্বৃত্ত।
ভারতের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ বিরোধী ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি এক্স এ বাংলাদেশের বিজয় দিবস নিয়ে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
ভারতকে হুঁশিয়ার করে যুবদলের আহবায়ক বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সে যতো বড় শক্তিশালী দেশই হোক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সৈনিকেরা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। নিজেদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতবদ্ধ। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই; ভারত আমাদের প্রতিবেশী এর বেশি কিছু নয়।
তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফাকে বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার রূপরেখা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনেছিল; যা বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের নেতা-কর্মীদের জনকল্যাণমুখী কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, যুবদলের কোনো নেতাকর্মীদের জন্য জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোনো অভিযোগ উঠলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা সাজ্জাদুল মিরাজ বলেন, আন্তরিকতা ও সীমাহীন ধৈর্যের মধ্যে কর্মী থেকে নেতার সৃষ্টি হয়। আমাদের দক্ষ কর্মী দরকার অদক্ষ জনবল না।