আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত\n
বাংলাদেশ জাসদ বলছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের ৯ মাস পর সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইন সংশোধন করে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দল ও সংগঠনের বিচারের পথ উন্মুক্ত করেছে। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা নির্বৃত্ত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনেরও সংশোধন করেছে। এ ছাড়া সরকার আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা বলেন, বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের অপশাসন, লুটপাট, গুম-খুন, বিশেষ করে গত বছরের জুলাই-আগস্টে সরকারী বাহিনী ও দলীয় সশস্ত্র দুর্বৃত্ত বাহিনী পরিচালিত পাইকারী হত্যাণ্ডে ১৪০০ মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নজিরবিহীন হত্যার বিচার ছিল জনগণের প্রাণের দাবি। নেতৃত্বের পাশাপাশি সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনার জন্য অবশেষে সরকার একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
‘আমরা তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণার সঙ্গে লক্ষ করেছি যে পতিত আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এখন পর্যন্ত তাদের খুন-নির্যাতনের জন্য অনুশোচনা তো দূরের কথা, তারা গণঅভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র বলে নাকচ করছে। হত্যার দায় দায়িত্ব আন্দোলনকারী শক্তির ওপর চাপিয়ে নিজেদের দ্বারা সংগঠিত গণখুনকে আড়াল করতে চাইছে। এ ধরণের প্রয়াস কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ সভা আশা করে, আদালত স্বচ্ছতার সঙ্গে ন্যায়বিচার সম্পন্ন করবে,’— বলেন বাংলাদেশ জাসদের নেতারা।
সভায় অংশ নেন ও আলোচনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন, এ টি এম মহব্বত আলী, আবদুল কাদের হাওলাদার, করিম সিকদার, মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু ও নাসিরুল হক নবাব; স্থায়ী কমিটির পর্যবেক্ষক সদস্য রোকনুজ্জামান রোকন প্রমুখ।