প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেছেন, আমরা যতদিন বেঁচে আছি, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। এই দাবি আদায় না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে এই ইসিকে পুনর্গঠন করেই ছাড়ব।
একই সঙ্গে সরকারের ভেতরে থাকা বিএনপিপন্থি তিন উপদেষ্টাকে (আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা) পদত্যাগে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপির এই নেতা।
বুধবার (২১ মে) দুপুর নির্বাচন ভবনের সমনে বিক্ষোভ কর্মসুচির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ২০২২-এর যে আইন রয়েছে সেই আইনের মাধ্যমে বর্তমান নির্বাচন কমিশনা যারা রয়েছেন তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশনের যারা গত তিনটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করেছিল। কর্মকর্তা কর্মচারী অনেকে এর সাথে জড়িত ছিল। প্রথম দাবি হলো ইসিকে পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, ইসি একটি সংবিধান প্রতিষ্ঠান কিন্তু তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জায়গায় কথা না বলে, একটি নির্দিষ্ট দলের মুখপাত্রের ভূমিকা তারা পালন করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জা। এই ইসির অধীনে বাংলাদেশে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা আশা করি না। তাই কমিশনকে অবশ্যই পূর্ণগঠন করতে হবে। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের প্রথম কেস হিসেবে ধরে নেব, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন তারা সুন্দর ভাবে আয়োজন করতে পারলে আমরা মনে করব জাতীয় নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের ফিটনেস রয়েছে।
বাংলাদেশের কোন মুজিবীয় সংবিধান থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কয়েকদিন আগেও মাঠে নেমেছিলাম, আমাদের একটি দাবি আদায় হয়েছে। আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ইলেকশন কমিশন, সংবিধান এখনো নিষিদ্ধ হয় নাই। আমরা সংবিধান পোড়ানোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। তড়িঘড়ি করে এই বিতর্কিত কমিশন গঠিত হয়েছে। তাই এই কমিশন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ প্রসঙ্গে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমদ কাজ করছেন। আইন মন্ত্রণালয় গুঁড়িয়ে দিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কাজ করছেন। ওই তিন উপদেষ্টা বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। তাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হব।
নাসির আরও বলেন, আসিফ-নজরুল-সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চাইতে বাধ্য হব। জনগণ যেভাবে আওয়ামী লীগকে ছুড়ে ফেলেছে, আপনাদেরও ছুড়ে ফেলা হবে। ইসি পুনর্গঠন ছাড়া এনসিপি কোনো ভোট করতে দেবে না। ইসি বিএনপির দলীয় কার্যালয় হিসেবে কাজ করছে। রক্তের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপির পক্ষে কাজ করতে পারেন না। ইসিকে আগে স্থানীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় দালাল চক্র দখল করছে। উপদেষ্টা প্যানলে বিএনপি পন্থীদের বের করে দেন। আমরা দেখতে চাই। বিএনপি লাশের রাজনীতি শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের টাকায় বিএনপি বড় বড় কথা বলে। আওয়ামী লীগের টাকায় বিএনপি নগর ভবন বন্ধ করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন ভারত থেকে এসে ভারতের দালাল হয়ে গেছেন মন্তব্য করে এনসিপির এই নেতা বলেন, উনি দেশ ধ্বংস করছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হবে না। সালাউদ্দিন ভারতের প্রেসক্রিপশনে কাজ করছেন।
আইন উপদেষ্টার উদ্দেশে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আসিফ নজরুল টালবাহানা করছেন। জনগণের রক্তের সঙ্গে তিনি বেইমানি করছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র না দিলে আপনি দেশে থাকতে পারবেন না।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেছেন, আমরা যতদিন বেঁচে আছি, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। এই দাবি আদায় না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে এই ইসিকে পুনর্গঠন করেই ছাড়ব।
একই সঙ্গে সরকারের ভেতরে থাকা বিএনপিপন্থি তিন উপদেষ্টাকে (আইন, অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা) পদত্যাগে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপির এই নেতা।
বুধবার (২১ মে) দুপুর নির্বাচন ভবনের সমনে বিক্ষোভ কর্মসুচির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ২০২২-এর যে আইন রয়েছে সেই আইনের মাধ্যমে বর্তমান নির্বাচন কমিশনা যারা রয়েছেন তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশনের যারা গত তিনটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করেছিল। কর্মকর্তা কর্মচারী অনেকে এর সাথে জড়িত ছিল। প্রথম দাবি হলো ইসিকে পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, ইসি একটি সংবিধান প্রতিষ্ঠান কিন্তু তারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জায়গায় কথা না বলে, একটি নির্দিষ্ট দলের মুখপাত্রের ভূমিকা তারা পালন করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জা। এই ইসির অধীনে বাংলাদেশে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা আশা করি না। তাই কমিশনকে অবশ্যই পূর্ণগঠন করতে হবে। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের প্রথম কেস হিসেবে ধরে নেব, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন তারা সুন্দর ভাবে আয়োজন করতে পারলে আমরা মনে করব জাতীয় নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের ফিটনেস রয়েছে।
বাংলাদেশের কোন মুজিবীয় সংবিধান থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কয়েকদিন আগেও মাঠে নেমেছিলাম, আমাদের একটি দাবি আদায় হয়েছে। আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ইলেকশন কমিশন, সংবিধান এখনো নিষিদ্ধ হয় নাই। আমরা সংবিধান পোড়ানোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। তড়িঘড়ি করে এই বিতর্কিত কমিশন গঠিত হয়েছে। তাই এই কমিশন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ প্রসঙ্গে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দিতে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমদ কাজ করছেন। আইন মন্ত্রণালয় গুঁড়িয়ে দিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কাজ করছেন। ওই তিন উপদেষ্টা বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। তাদের পদত্যাগ করাতে বাধ্য হব।
নাসির আরও বলেন, আসিফ-নজরুল-সালাউদ্দিনের পদত্যাগ চাইতে বাধ্য হব। জনগণ যেভাবে আওয়ামী লীগকে ছুড়ে ফেলেছে, আপনাদেরও ছুড়ে ফেলা হবে। ইসি পুনর্গঠন ছাড়া এনসিপি কোনো ভোট করতে দেবে না। ইসি বিএনপির দলীয় কার্যালয় হিসেবে কাজ করছে। রক্তের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপির পক্ষে কাজ করতে পারেন না। ইসিকে আগে স্থানীয় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় দালাল চক্র দখল করছে। উপদেষ্টা প্যানলে বিএনপি পন্থীদের বের করে দেন। আমরা দেখতে চাই। বিএনপি লাশের রাজনীতি শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের টাকায় বিএনপি বড় বড় কথা বলে। আওয়ামী লীগের টাকায় বিএনপি নগর ভবন বন্ধ করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন ভারত থেকে এসে ভারতের দালাল হয়ে গেছেন মন্তব্য করে এনসিপির এই নেতা বলেন, উনি দেশ ধ্বংস করছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হবে না। সালাউদ্দিন ভারতের প্রেসক্রিপশনে কাজ করছেন।
আইন উপদেষ্টার উদ্দেশে নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আসিফ নজরুল টালবাহানা করছেন। জনগণের রক্তের সঙ্গে তিনি বেইমানি করছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র না দিলে আপনি দেশে থাকতে পারবেন না।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি পরিবর্তনে বিশ্বাস করে বলেই বহু আগেই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছিল। সংস্কারের কথা তো বিএনপিই বলেছিল, অথচ এখন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে বিএনপি সংস্কার
৪ ঘণ্টা আগেপ্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম জিয়া বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্যাতন, গ্রেপ্তার, অত্যাচার, খুন, গুমের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, এক দলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ শাসকগোষ্ঠী। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন
৪ ঘণ্টা আগেঅভিযোগ করে তিনি বলেন, 'এই উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারে নাই। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেলেও তারা একবারও আমাদের খোঁজ নিল না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করে না।'
৭ ঘণ্টা আগেরাশেদ প্রধান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তবুও আমরা এখনো ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ করতে পারছি না। এই ব্যর্থতার দায় কে নেবে? অন্তর্বর্তী সরকার বারবার জুলাই সনদ প্রকাশের নতুন নতুন সময় দিয়েও তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে পারছে না। আমরা
৭ ঘণ্টা আগে