ধর্ষণ মামলায় ১৫ দিনে তদন্ত, ৯০ দিনের মধ্যে বিচার: আইন উপদেষ্টা

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৫, ১৬: ৫০
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে এ সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনের মধ্যে এবং বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।

রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আমরা কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। এগুলো চূড়ান্ত করে শিগগির আইনগত পরিবর্তন আনা হবে। নারীর প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে তাকে পরিবর্তন করে দেওয়া হতো। এভাবে চলতে থাকত। এটা পরিবর্তন করা হবে। তদন্ত কর্মকর্তা যাকে নির্ধারণ করবে, তাকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।

ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারের সময়সীমা কমিয়ে আনা হচ্ছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ধর্ষণ মামলার তদন্ত সম্পন্ন করার সময় কমিয়ে ৩০ থেকে ১৫ দিন করা হচ্ছে। বিচারের ক্ষেত্রেও সময় কমিয়ে অর্ধেক করে দিচ্ছি। ধর্ষণের মামলায় বিচার করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে। ধর্ষণ মামলা ৯০ দিনের মধ্যে শেষ না হলেও সেই অজুহাতে আসামির জামিন দেওয়া যাবে না।

ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে কোনো কর্মকর্তার কোনো ধরনের গাফিলতি থাকলেও ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান আইন উপদেষ্টা। বলেন, ধরনের মামলায় কোনো কর্মকর্তার কোনো গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুনির্দিষ্ট বিধান আইনে সংযুক্ত করব।

ধর্ষণের মামলায় অনেক সময় ডিএনএ সনদ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, দেশের সবখানে ডিএনএ সনদ নেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এই সুবিধা অপ্রতুল হওয়ায় ধর্ষণের মামলার বিচারে অনেক দেরি হয়ে যেত। আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করে এখানেও পরিবর্তন আনব। উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করেন, কেবল মেডিকেল সনদের ভিত্তিতে মামলার বিচার করা সম্ভব, তাহলে সেটা করতে পারবেন।

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় তদন্ত ও বিচারে যেন বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ না হয়, সে বিষয়ে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সজাগ থাকবে।

মাগুরার ঘটনার প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল আরও বলেন, এমন অনেক ক্ষেত্রে আসামি হাতেনাতে ধরা পরে। অন্তত এসব ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ রোধে আমরা ডিএনএ সার্টিফিকেটের বিষয়ে পরিবর্তনটা আনার চিন্তা করছি। এ ছাড়া প্রতিটি জেলায় ডিএনএ ফরেনসিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করার জন্যও সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে।

এর আগে রোববার দুপুর ২টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তিন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব ভুলে গিয়ে শুধু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে : আখতার

আখতার হোসেন বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের ফলে মানুষের প্রত্যাশা শুধু এতটুকুই ছিল না যে হাসিনার রেজিমকে উৎখাত করবে বা আগেকার মতো দেশটা চলতে থাকবে। কারণ মানুষ দেখে এসেছেন যে বাংলাদেশের সংকট যেমন, নেতৃত্ব বা ব্যবস্থারও সংকট তেমন। শুধু নেতৃত্বকে পরিবর্তন করে ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখে বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্

১২ ঘণ্টা আগে

মানুষের পারিবারিক সিদ্ধান্তও নির্বাচনের জন্য আটকে আছে : আমীর খসরু

রবিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ক্র্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আগামীর উন্নত জাতি গঠনে দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বইটির লেখক-প্রকাশক ও নিউ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন।

১৩ ঘণ্টা আগে

তারেকের অনশনের ১২৫ ঘণ্টা পার, ‘কিছু করার নেই’ ইসির

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের দাবিতে অনশন করছেন আমজনতার দলের সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে তার অনশন পেরিয়ে গেছে ১২৫ ঘণ্টা, তথা টানা পাঁচ দিন। তার শারীরিক অবস্থারও অবনতি ঘটেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলছে, ৫০০ ঘণ্টা অনশন করলেও তাদের কিছু করার নেই।

১৬ ঘণ্টা আগে

নির্বাচন করবই, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পরে: আসিফ

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এখন নিশ্চিতভাবেই বলছি, আমি নির্বাচন করব।’ পদত্যাগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কবে নাগাদ পদত্যাগ করব, এটা এখনো ঠিক হয়নি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।’

১৭ ঘণ্টা আগে