সোনার দামে ঊর্ধ্বগতি থামছেই না, ২ দিনের ব্যবধানে ভরিতে বাড়ল ৩২৪৩ টাকা

দুদিন আগেই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি ভরি সোনার দাম দেড় লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এর দুদিনের ব্যবধানে সেই সোনার দাম বেড়েছে আরও একবার। এবারে ভরিতে বাড়ল তিন হাজার ২৪৩ টাকা। তাতে ২২ ক্যারেট, তথা সবচেয়ে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ টাকায়।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। স্বাভাবিকভাবেই দেশের বাজারে প্রতি ভরি সোনার দামে এটি নতুন রেকর্ড।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২১ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি সোনার নতুন দাম এক লাখ ৪৭ হাজার ৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি সোনার নতুন দাম এক লাখ ২৬ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার নতুন দাম এক লাখ চার হাজার ২০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে সোনার দাম বাড়লেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম দুই হাজার ১১১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে অবশ্যই সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করে প্রতি ভরিতে এক হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। ওইবারই প্রথম দেশে সোনার ভরি দেড় লাখ টাকা অতিক্রম করে। ওই সময়ও অন্যান্য মানের সোনার দামও বাড়ে।
এ নিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত এক মাস ১০ দিনেই আট বার দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করা হলো। এই আটবারের প্রতিবারই সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালে দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল মোট ৬২ বার, যার মধ্যে ৩৫ বারই দাম বাড়ানো হয়, কমানো হয় ২৭ বার।