পূজা উদযাপন কমিটির
পূজা উদযাপন কমিটির নেতার অনুরোধেই গেয়েছেন শিল্পীরা: পুলিশ

পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতার অনুরোধেই ইসলামিক গানের দলটি চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলের মণ্ডপে গান পরিবেশন করেছিল বলে জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) রইছ উদ্দিন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটকের বিষয়ে তথ্য দিতে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় দামপাড়া পুলিশ লাইনসে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে এই কথা বলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এই কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে রইছ উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে।
সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একটি গানের শব্দ চয়ন উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মর্মাহত করে বলে প্রতীয়মান হয়। এ ঘটনাটি নজরে আসার পর পুলিশ তৎপর হয়। গান পরিবেশন করা দুইজনকে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। এ দুজন হলেন, শহিদুল ইসলাম (৪২) ও নুরুল ইসলাম (৩৪)। শহিদুল নগরীর তানজীমুমুল উম্মাহ মাদরাসা ও নুরুল করিম দারুল ইফরান একাডেমির শিক্ষক।
উপ-কমিশনার বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা খোঁজা হচ্ছে। এ ঘটনায় বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মো. রইছ উদ্দিন বলেন, যারা তাদের এ অনুষ্ঠানে ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করেছিল, তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে সজল দত্ত, যার নাম উঠে এসেছে, তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে আমরা পাইনি। চেষ্টা চালাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার রাতে জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে সপ্তমীর দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। পূজা উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য সজল দত্তের আহ্বানে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ছয় সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠে। ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শীর্ষক দুটি গান পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির ৬ সদস্য শহীদুল করিম (৪২), মো. নুরুল ইসলাম (৩৪), আব্দুল্লাহ ইকবাল (৩০), রনি (২৮) ও গোলাম মোস্তফা (২৭) ও মো. মামুন (৩৬)।
এর মধ্যে দ্বিতীয় গানটির শেষের অংশ ভিডিও আকারে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা