চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি : পুলিশ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপার মিজাপুর রহমান। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
শনিবার দুপুরের দিকে পুলিশ সুপার তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
পুলিশ সুপার জানান, চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজনই আন্তঃজেলার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। শুক্রবার রাতে সাভার এলাকা থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় লুণ্ঠিত ৩টি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন প্রাথমিকভাবে অপরাধ স্বীকার করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে দ্রুত। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। তবে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা নেওয়ার সময় শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
পুলিশ সুপার বলেন, বাসের নারী যাত্রীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও আমাদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। আশা করি দ্রুতই পুরো ঘটনা আমরা জানতে পারব।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ৩ জনের মধ্যে সবুজ ও শরীফুজ্জামান আদালতে জবানবন্দি দেবেন। অপর আসামি শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এর আগে ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার ভোরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় ওমর আলী নামের এক যাত্রী বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৮/৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিনগত মধ্যরাতে ইউনিক রোড রয়েলসের বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানি করার পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নির্জন স্থানে বাস থামিয়ে ডাকাতদল নেমে যায়। ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানান। পরে যাত্রীদের চাপের মুখে চালক বাস নিয়ে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার পর যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। এ সময় ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলমকে (২৮) আটক করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে নাটোর আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। বুধবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।