top ad image
top ad image
home iconarrow iconমাঠের রাজনীতি

জামায়াতের ইফতারে ছাত্রদলের বাধার অভিযোগ

জামায়াতের ইফতারে ছাত্রদলের বাধার অভিযোগ
টাঙ্গাইলে জামায়াতের ইফতারে ছাত্রদলের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছবি: রাজনীতি ডটকম

টাঙ্গাইলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জামায়াতের অভিযোগ, এ নিয়ে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াতের নেতাকর্মীদের হাতাহাতিও হয়েছে। তবে ছাত্রদল ইফতার আয়োজনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের কোদালিয়া এলাকায় কেডি মসজিদের সামনের মাঠে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে সেখানেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা ইফতার করেন।

বুধবার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কেডি মসজিদের সামনের মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে টাঙ্গাইল শহর জামায়াত। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবীব মাসুদ।

জামায়াতের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল ইফতার মাহফিল বন্ধ করার জন্য আয়োজক কমিটিকে চাপ দিতে থাকে থাকে। জামায়াতের নেতারাও ইফতার আয়োজনে অনড় অবস্থান গ্রহণ করলে উত্তেজনা ছড়ায়।

জানা গেছে, আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে হাসান, রুবেল, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপনসহ ২০-২৫ জন মারমুখী অবস্থান নিলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়। পুলিশসহ দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার পর ছাত্রদলের নেতারা চলে যান। জামায়াতের নেতাকর্মীরাও সেখানেই ইফতার করেন।

শহর জামায়াতের আমির মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, এম এ বাতেন তার সঙ্গীদের নিয়ে আমাদের ইফতার পার্টি করতে বাধা দেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইফতার কেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজন করা হয়েছে, এ নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশক অবগত করি। পরে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

জানতে চাইলে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এম এ বাতেন বলেন, ইফতার অনুষ্ঠানে কোনো হট্টগোল হয়নি। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এলাকায় কে বা কারা ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে, শুধু সেটা জানার জন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, শহর জামায়াতের আমির মিজানুর রহমান চৌধুরী আমাকে অবগতি করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এরপর পরিবেশ স্বাভাবিক হলে সবাই মিলেমিশে সেখানে ইফতার করেন। এখন কোনো বিশৃঙ্খলা নেই।

r1 ad
r1 ad
top ad image