রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতির ঘটনায় মামলা, চলছে পুলিশি তদন্ত\n
বড়াইগ্রাম থানার ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিন্টু জানান, ওসিকে প্রত্যাহার করার কথা তিনি শুনেছেন। ওসির থানার দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসে’র একটি বাসে গত সোমবার রাতে ডাকাতি হয়। ঢাকার গাবতলী ছেড়ে যাওয়ার পর বাসটি টাঙ্গাইলে পৌঁছালে ডাকাত দল বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। দলে থাকা পাঁচ-সাতজন যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোন, সোনার অলংকার সব কেড়ে নেয়। এ সময় দুই নারী যাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করা হয়।
প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি করার পর বাসটি ফের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিয়ে ডাকাতরা নেমে যায়। যাত্রীদের চাপের মুখে অনিচ্ছা সত্ত্বেও চালক-সহকারী ও সুপারভাইজার বাসটি রাজশাহীর দিকে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর মধ্যে এক যাত্রী কৌশলে বাড়িতে ঘটনাটি জানালে তার স্বজনরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রামে আটকে দেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বাসটি থানায় নিতে বাধ্য করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ মামলা না নিলেও বাসের সুপারভাইজার, চালক ও সহকারীকে আটক করে। মামলা না হওয়ায় তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। ওই সন্ধ্যাতেই আদালত শুনানি নিয়ে তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে বড়াইগ্রাম থানা জানায়, ঘটনাটি মির্জাপুরে হওয়ায় তারা মামলা নেবে না। ওদিকে মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাটি তাদের সীমানায় হয়েছে বলে অস্বীকার করে। দুই থানার ঠেলাঠেলির মধ্যে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোড়ন ফেলে। শেষ পর্যন্ত তিন দিন পর মির্জাপুর থানা মামলাটি গ্রহণ করেছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তিন জেলায় সম্পৃক্ত— ঢাকা, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল। টাঙ্গাইল পুলিশ মামলাটি নিয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক দল বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।