top ad image
top ad image
home iconarrow iconমাঠের রাজনীতি

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন, জীবন দিয়ে সমাপ্তি

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন, জীবন দিয়ে সমাপ্তি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন অবস্থান পর শান্তা আক্তার (২৩) নামে এক সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার রাতে উপজেলা খালুয়াবাড়ী গ্রামে প্রেমিক সোহাগের নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ঘটনার পর থেকে নিহতের প্রেমিক সোহাগ পলাতক রয়েছে।

নিহত শান্তা আক্তার কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। প্রেমিক সোহাগ (২৪) কালিহাতী উপজেলা খালুয়াবাড়ী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

জানা যায়, এক বছর আগে মোবাইলে সোহাগের সঙ্গে শান্তা আক্তারের পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের দু’জনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা। এ সময় বিয়ের আশ্বাসে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক সময় বিয়ের জন্য ওই নারী সোহাগকে চাপ দিতে থাকেন। তখন নানা তালবাহানা শুরু করেন সোহাগ। এছাড়াও তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কারও নেন সোহাগ।

বিষয়টি স্থানীয় মাতবর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি শান্তা আক্তার। পরে বিয়ের দাবিতে টানা চার দিন প্রেমিক সোহাগের বাড়িতে অনশন করেন তিনি। কিন্ত এতেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে দুঃখ ও ক্ষোভে শনিবার রাতে প্রেমিক সোহাগের টিনেসড বাড়ির একটি ঘরে প্রবেশ করে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন শান্তা।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু চন্দ্র ঘোষ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রেমিক সোহাগের মা ছোবুরা বেগম ও বাবা নুরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।

r1 ad
r1 ad