top ad image
top ad image
home iconarrow iconমাঠের রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশকে জুতা দিয়ে পেটালেন দুই নারী

কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশকে জুতা দিয়ে পেটালেন দুই নারী

কুষ্টিয়ায় দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে চড়থাপ্পড় ও জুতা দিয়ে পিটিয়েছেন দুই নারী। মারধরের ঘটনার ফুটেজ সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। মারধরের শিকার পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ট্রাফিক সদস্যকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালের দিকে কুষ্টিয়া শহরে ব্যস্ততম কোর্টস্টেশন রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওই ট্রাফিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। দুই নারীর বিষয়েও খোঁজনেওয়া হচ্ছে।’

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই ট্রাফিক পুলিশ কোর্টস্টেশন মোড় এলাকায় দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় সড়কের বিপরীত দিক থেকে মধ্যবয়সী এক নারী হেঁটে তীব্র গতিতে ট্রাফিক পুলিশের দিকে যাচ্ছেন। ওই নারী ট্রাফিক পুলিশের সামনে গিয়েই ডান হাত দিয়ে সজোরে থাপ্পড় দেন, আঙুল নাড়িয়ে কিছু বলতে থাকেন। এরপর পায়ের জুতা খুলে মারতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর আরেক নারী এসে জুতা দিয়ে মারতে থাকেন। তখন প্রথম নারী মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিওধারণ করতে থাকেন। আশপাশে দাঁড়িয়ে এবং সড়কে চলতে থাকা অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন ব্যক্তি এসব দৃশ্য দেখেন। একপর্যায়ে কয়েকজন ব্যক্তি তাদের নিবৃত্ত করেন। তবে পুরো মারধরের সময় ওই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে কোনো পাল্টা আঘাত করতে দেখা যায়নি।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে থাকায় ট্রাফিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর সহকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি কয়েক দিন আগে যোগদান করেছেন। সকাল থেকে কোর্টস্টেশন এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন। বিকেলে তিনি দায়িত্ব পালন শেষ করেন।

ভুক্তভোগী ট্রাফিক সদস্যের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, সকালে রেলগেট এলাকায় ট্রেন আসার আগে রেলগেটের প্রতিবন্ধক পড়ে যায়। এ সময় ওই নারী রিকশাযোগে তাঁর সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে রেলগেট উঁচু করতে বলেন। ট্রাফিক সদস্য বিষয়টি তার এখতিয়ার না বলে জানিয়ে দেন। এ নিয়ে ওই নারী বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। পরে ওই নারী আরও এক নারীকে নিয়ে এসে আচমকা মারধর করেন। ওই দুই নারীর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

r1 ad
r1 ad