গৃহবধূর কান কেটে দিলো প্রভাবশালী প্রতিবেশী
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লতা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে কান কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী হুমায়ুন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহত ঐ নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত দুইদিন আগে লতা বেগমের ছেলের বাইসাইকেলটি ভেঙে দেয় প্রতিবেশী হুমায়ুনের ছেলে। ভাঙা বাইসাইকেলটি দেখাতে হুমায়ুনের বাড়ীতে যায় লতা বেগম। এ নিয়ে একপর্যায়ে তাঁদের মাঝে কথা-কাটাকাটির বাঁধে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হুমায়ুন ও তার পরিবারের লোকজন লতা বেগমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে সে ভয়ে বাড়ী চলে যায়। পরবর্তীতে বুধবার দুপুরে হুমায়ুনের বাড়ীর সামনে দিয়ে মাঠ থেকে ছাগল আনতে যায় লতা বেগম। এ সময় মিমাংসার কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে হুমায়ুন ও তার পরিবারের লোকজন পিটিয়ে আহত করে বাম কান কেটে দেয়। এসময় লতার ডাক চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আহত লতা বেগমের স্বামী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের সাইকেল ভেঙে দেয় হুমায়ুনের ছেলে। বিষয়টি তাদের জানাতে গেলে উল্টো তারা হামলা করার চেষ্টা করলে আমার স্ত্রী ঐদিন চলে আসে। ঐ ঘটনার জেরে আজ একা পেয়ে আমার স্ত্রীকে মারধর করে কান কেটে দিয়েছে। এ ঘটনায় বিচার দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত হুমায়ুনের স্ত্রী হাফিজা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনা মিমাংসার জন্য তাকে ডেকে বাড়ীতে নিয়ে আসি। এসময় আমার বোনের সাথে ঝগড়া বাঁধে। হাত লেগে কান ফেটে রক্ত বের হয়। তবে ইচ্ছে করে এ ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ চাঁদ মিয়া বলেন, এক নারীকে মারধরের ঘটনায় সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।