বিয়েতে ‘রাজি না হওয়ায়’ অপহৃত তরুণের মরদেহ উদ্ধার
বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় শেরপুরে অপহরণের শিকার হওয়া কলেজছাত্র সুমন মিয়ার মরদেহ সাতদিন পরে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ নিহত কলেজছাত্রের পরিবারের।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফুরকান মিয়ার বাড়ির উঠানের মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মরদেহ উদ্ধারের সময় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আমিনুল ইসলাম, ম্যাজিস্ট্রেট, সাংবাদিক, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
সুমন শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া (নিমতলা) এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
সুমনের স্বজনরা জানায়, সদর উপজেলার ঝগড়ার চরের বাসিন্দা আন্নি নামে এক তরুণীর সঙ্গে সুমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অনেকদিন আগে তাদের সম্পর্কচ্ছেদ হয়। এরপর আন্নি আরেকজনের সঙ্গে প্রেমে জড়ান। কিন্তু কিছুদিন ধরে মেয়েটি বিয়ের জন্য সুমনকে প্রস্তাব দিলে তাতে রাজি হননি সুমন। সাত দিন আগে আন্নি ফোন করে সুমনকে ময়মনসিংহে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছিল না।
স্বজনরা আরও বলেন, গতরাতে আন্নির আরেক প্রেমিক রবিন মিয়ার বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা অবস্থায় সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা আন্নি ও প্রেমিক রবিনসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসি চান।
পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সুমন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয় পুলিশ। তাকে উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। এসপি আরও বলেন, সুমনকে উদ্ধারে প্রথমে অভিযুক্ত তরুণী আন্নিসহ তার বাবাকে আটক করা হয়। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আন্নির অপর প্রেমিক রবিন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত কলেজছাত্র সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলেও এসপি জানান।
এর আগে পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেছিলেন, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে ছিল বলে জানতে পেরেছিলেন তারা। তবে সুমনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তারা।