top ad image
top ad image
home iconarrow iconমাঠের রাজনীতি

নির্বাচনে আস্থার ঘাটতি রোধে 'কপোত' অ্যাপস : ইসি সচিব

নির্বাচনে আস্থার ঘাটতি রোধে 'কপোত' অ্যাপস : ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব শফিউল আজিম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যেন আর কখনও আস্থার ঘাটতি না হয়, সে জন্যই 'কপোত' অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে আগামীদিনের নির্বাচনে আরও স্মার্ট সেবা দেওয়া হবে।

আজ শনিবার সকালে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট (আরএমএস) সফটওয়্যার এবং 'কপোত' অ্যাপসের ব্যবহার সহজীকরণ সংক্রান্ত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে এই অ্যাপস উদ্বোধন শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম আরও বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। নির্বাচন নিয়ে যেন কখনও আস্থার ঘাটতি না হয় সেজন্য 'কপোত' অ্যাপসটি তৈরি করা হয়েছে। এ অত্যাধুনিক স্মার্ট অ্যাপসটির ব্যবহার কিভাবে আরও সহজ করা যায় সে লক্ষ্যেই নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতে সব বিভাগে এমন কর্মশালার আয়োজন করা হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে আরও স্মার্টভাবে সেবা প্রদান সম্ভব হবে।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার আক্তার জামিল, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ ও রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালনকারীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৭০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর কাস্টিং ভোটের সংখ্যা জানাতে প্রত্যেক প্রিসাইডিং অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এজন্য সব প্রিসাইডিং অফিসারের জন্য ‘কপোত’ নামের একটি অ্যাপস চালু করা হয়। এ অ্যাপে কেন্দ্রের নাম ও ভোটার সংখ্যা উল্লেখ থাকবে। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর গৃহীত ভোটের সংখ্যা এতে আপলোড করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এছাড়া, তারও আগে রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (আরএমএস) নামে আরেকটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এ অ্যাসপটি দিয়ে দ্রুততম সময়ে ফলাফল পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু অনেক প্রিসাইডিং অফিসার তাদের ভোটের তথ্য সময়মতো আপলোড করতে পারেননি। পরে তারা এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভোটের সংখ্যা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন। তবে একসঙ্গে অনেক হিট হওয়ার কারণে অ্যাপসটি ধীরগতিতে চলেছে।

r1 ad
r1 ad