top ad image
top ad image
home iconarrow iconমাঠের রাজনীতি

কর্মশালায় বক্তারা

'দেশকে বৈষম্যমুক্ত করতে প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবে ছাত্রজনতা'

'দেশকে বৈষম্যমুক্ত করতে প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবে ছাত্রজনতা'

দেশকে বৈষম্যমুক্ত করতে প্রয়োজনে ছাত্র জনতা আবারও রাস্তায় নামবে, কিন্তু কোনো অন্যায় মেনে নেবে না বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। আজ বুধবার রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে 'বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংস্কার : আমাদের প্রত্যাশা' শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এর আগে বিসিএস জেনারেল অ্যাডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী কলেজ ইউনিট আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিসিএস জেনারেল অ্যাডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী কলেজ ইউনিট এর সম্পাদক অধ্যাপক ড.শাহ্ মো. মাহবুব আলম। এসময় রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোছা. জামিলা খাতুন মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ ড.অধ্যাপক মো. ইব্রাহিম আলী, নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কালাচাঁদ শীল, শহীদ বুদ্ধিজীবি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. খান মুহাম্মদ মাইনুল হক, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহীর সমন্বয়ক আব্দুর রহিম বক্তব্য দেন।

কর্মশালায় রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলী জবাবদিহিমূলক জনবান্ধব সিভিল প্রশাসনের দাবি জানান। সমন্বয়ক আব্দুর রহিম বলেন, 'দেশকে বৈষম্যমুক্ত করতে হলে প্রয়োজনে ছাত্র জনতা আবারও রাস্তায় নামবে, কিন্তু কোন অন্যায় মেনে নেবে না।'

অনুষ্ঠানে রাজশাহীতে অবস্থিত সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রত্যেক কলেজের বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদকসহ শিক্ষকমন্ডলী এবং প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালা শেষে ছাত্ররা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংস্কারে ও জনকল্যাণমুলক রাষ্ট্র গঠনে বেশ কিছু সুপারিশ দেন। এর ভেতর উল্লেখযোগ্য হলো-

মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তাদেরকে প্রদান করতে হবে।

চাকুরির আগে কিংবা পরে জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর সাথে সাংঘার্ষিক সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধাভিত্তিক সিভিল প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।সমস্ত পেশার বৈষম্য দূর করে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সেবার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। প্রত্যেক সেক্টরে সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান তার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করবে অথবা স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে সকল পেশায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ এবং গ্রেড তৈরি করতে হবে।আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট সেক্টরের জনবল দ্বারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর সংশ্লিষ্ট সভাসমূহ আয়োজন, নীতিনির্ধারণ ও পরিচালনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানকে প্রদান করতে হবে। যেকোন অফিস আদেশ হবে সার্বজনীন, যা একই গ্রেডের সকল কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য হতে হবে। সর্বোপরি রাষ্ট্রের সকল সেক্টরের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের তফসিলভু্ক্ত পদ থেকে অন্য ক্যাডারের অদক্ষ ও অপেশাদার কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়।

কর্মশালার প্রথম পর্ব উপস্থাপনা ও কর্মশালাটি পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক মো.পারভেজ রানা।

r1 ad
r1 ad
top ad image