top ad image
top ad image
home iconarrow iconমাঠের রাজনীতি

রামেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি

রামেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে তিন দিনের এক নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চুরির এ ঘটনা ঘটে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মামলা হয়নি।

চুরি যাওয়া নবজাতকের বাবার নাম সুমন মিয়া। তাঁর বাড়ি রংপুরের পীরগাছা থানার তাম্বুলপুর গ্রামে। সুমনের স্ত্রীর নাম মোছা. মনি খাতুন। তাঁর বাবার বাড়ি ঈশ্বরদীর গোকুলনগর গ্রামে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, মোছা. মনি খাতুন নামের এক নারী গত সোমবার পুত্র সন্তান জন্ম দেন। এর তিনদিন পর বাচ্চা হারানোর এমন অভিযোগ পেলে জানতে পারি নবজাতককে জোর করে বা ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি। বাচ্চার নানি নিজেই অপরিচিত এক মহিলার কাছে দিয়েছেন। তাদের থেকে যদি বাচ্চা নিয়ে যায় তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ করেননি। তবে এই ঘটনা জানার পর থেকে আমরা নিজেরাও ক্ষতিয়ে দেখছি এবং কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানিয়েছি। সকল সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে এবং পুলিশের সহযোগীতায় খুব দ্রুত একটা সমাধানে আসতে পারবো বলে আশা করি।

নবজাতকের বাব সুমন আলী বলেন, গত সোমবার আমার স্ত্রী সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। বুধবার বিকেলে আমার শাশুড়ি বাচ্চা কোলে নিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময় বোরকা পরিহিত অপরিচিত এক মহিলা নিজেকে স্বেচ্ছাসেবী দাবি করে বাচ্চা অসুস্থ এবং ভালো চিকিৎসার কথা বলে শহরের এক হোটেলের রুমে নিয়ে যাওয়ার পর কৌশলে বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যান ।

তিনি আরও বলেন, বাটার মোড়ের ওই হোটেলের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় । সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৪.২৩ মিনিটে বোরকা পরিহিত দুজন মহিলা হোটেলে প্রবেশ করছে । এরপর মুখে মাস্ক পরিহিত ওই মহিলা হোটেলে রুম বুকিং দিলে তার পাশেই নবজাতককে কোলে নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তার নানিকে। পরে সেখান থেকে হোটেল বয় তাদের রুম দেখিয়ে দিলে ৪.৪০ মিনিটে রুম থেকে মাস্ক পরিহিত মহিলাকে বাচ্চা নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় ।

এদিকে, গতকাল রাতে নবজাতকের নানা হাসান আলী ও নানি রুমি বেগম রাজপাড়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করতে যান। পরে তাঁদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাঁদের আটক রাখে।

এ বিষয়ে রাজপাড়া রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা এমন সংবাদ পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করেছি। আশাকরি তাড়াতাড়ি সন্ধান পাওয়া যাবে।

আর নানা-নানিকে আটকে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁদের কথাবার্তা সন্দেহজনক ছিল। ওই নারীর কাছ থেকে কিছু টাকাও নিয়েছেন নবজাতকের নানি। সব মিলিয়ে শিশুর বাবা এলে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

r1 ad
r1 ad
top ad image