বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি: বৈধতা নিয়ে শুনানি ২৬ জানুয়ারি
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত ঘোষণা সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা–সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানির জন্য ২৬ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি আবেদনে না ভোটের বিধান যুক্ত করার বিষয়টিও এখানে যুক্ত রয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিটকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক মঙ্গলবার এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে লিভ টু আপিলকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূইয়া, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নাজিব হুদা ও খন্দকার দিদার উস সালাম।
এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার বিধান সম্বলিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম রিট আবেদনটি করেন। পরের বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা কেন সংবিধানপরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন।
২০১৪ সালের ১৯ জুন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত ঘোষণা সংক্রান্ত রিট ও এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ফলে ওই সময়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা বৈধ বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। একই সঙ্গে পৃথকভাবে দুই আইনজীবীর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) না ভোটের বিধান সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটিও খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আপিল বিভাগে আবেদন করেন খন্দকার আবদুস সালাম।