top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

সালমান এফ রহমানকে একদিনে ২৩ মামলায় গ্রেপ্তার, রিমান্ডে আনিসুল হক

সালমান এফ রহমানকে  একদিনে ২৩ মামলায় গ্রেপ্তার, রিমান্ডে আনিসুল হক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানকে একই দিনে ২৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ আরও ১৩ জনকে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী পৃথক আদেশে মোট ৪৭ মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন ব্যক্তির হতাহতর হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। জানা গেছে, বেশির ভাগই হত্যা মামলা এবং বাকিগুলো হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলা। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসিকিউশন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সালমান এফ রহমানকে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা ১৭ মামলায়, মিরপুর থানার ৪ মামলায়, ধানমন্ডি থানার ১ মামলায় ও বাড্ডা থানার ১ মামলায় পৃথকভাবে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মিরপুর থানার ৭ মামলায়, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বনানী ও বাড্ডা থানার ১টি করে মামলায় অর্থাৎ মোট ১১টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে মিরপুর থানার ৪ মামলায়, ধানমন্ডি থানার ৩ মামলায়, মোহাম্মদপুর থানার ২ মামলায় ও বাড্ডা থানার ২ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আবদুল্লাহ আল মামুনকে একদিনে মোট ১১টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে মিরপুর থানার ৩ মামলা, বাড্ডা থানার ২ মামলা এবং ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর থানার ১টি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পলককে মোট ৭টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা ২ মামলায় এবং মিরপুর ধানমন্ডি বাড্ডা ও আদাবর থানায় দায়ের করা ১টি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ, ইনুকে মোট ৫টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান কে মোহাম্মদপুর থানার ২ মামলা ও আদাবর থানার ১ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁকে মোট ৩টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে মিরপুর থানার ২ মামলায় ও মোহাম্মদপুর থানার ১ মামলায় অর্থাৎ মোট ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে ধানমন্ডি থানার ১ মামলায় ও বাড্ডা থানার ১ মামলায় অর্থাৎ ২টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এ ছাড়া সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনিকে মোহাম্মদপুর থানার ১ মামলায়, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে মিরপুর থানার ১ মামলায়, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে মোহাম্মদপুর থানার ১ মামলায়, সাংবাদিক ফারজানা রুপাকে মোহাম্মদপুর থানার ১ মামলায়, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে তেজগাঁও থানার ১ মামলায় এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামকে তেজগাঁও থানার ১ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

প্রত্যেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেককে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য প্রত্যেককে সকালে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তাদের আবার কারাগারে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে মোহাম্মদপুর থানায় এক মামলায় আনিসুল হককে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার সুবিধামতো সময়ে কারাগার থেকে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময়ে উপরিউক্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যে প্রত্যেককে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

r1 ad
r1 ad
top ad image