মা-বাবা-ছেলে মিলে প্রতিবেশীর সন্তানকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ

এক দম্পতি ও তাদের ছেলের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় অপহরণ ও হত্যায় অভিযুক্তদের বাড়িসংলগ্ন সেপটিক ট্যাংকের পাশের একটি গর্তে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামে। শিশুটিকে অপহরণ ও হত্যায় অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন— শহীদুল (৪৫) এবং তার স্ত্রী সাহানা (৩৭) ও ছেলে সোহান (১৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১০ মার্চ) দুপুর থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী আনসারিয়া নুরানী মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শাকিলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বিকেলে শিশুটির মা জয়নবের মোবাইলে কল করে জানানো হয়, শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।

শিশু শাকিলের দাদির আহাজারি। ছবি: ভিডিও থেকে
শিশুটির পরিবার এ ঘটনা পুলিশকে জানায়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিবেশী শহীদুল ও তার ছেলে সোহানকে আটক করে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে শহীদুলের স্ত্রী সাহানাকেও আটক করা হয়। তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহীদুলের বাড়িসংলগ্ন একটি কাঁচা সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিশুটির মরদেহের গলায় বড় দাগের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, শিশুটির গলায় রশি বেঁধে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। মরদেহ গুম করতেই সেপটিক ট্যাংকের পাশে একটি গর্ত করে মরদেহটি লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী বলেন, শিশু শাকিলকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করছে। শিশু শাকিলের পরিবার এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেছে। আটক তিনজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।