ছাত্র হত্যায় আ. লীগ-ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আকরাম খান রাব্বি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির পল্লবী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাহিদ (৩৫), মো. ফারুক হোসেন (৪৫) ও মোহাম্মদ জলিল বেপারী (৪৫)। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে পল্লবীর বাউনিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্লবী থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবু তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এতে রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হন এবং পরে মারা যান।
এ ঘটনায় মৃত আকরামের পিতা ফারুক খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
থানা সূত্র আরো জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় রুজুকৃত মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের খিলগাঁও ২নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি মো. সোহাগকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির খিলগাঁও থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে খিলগাঁও থানার উত্তর গোড়ান এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খিলগাঁও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বিকালে খিলগাঁও আবাসিক এলাকার পল্লীমা স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চলছিল। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে মো. সোহেল গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর সোহেল বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সোহেলের ওপর আক্রমণের সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।