top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

ধর্ষণ শব্দ ব্যবহার নিয়ে মন্তব্যে দুঃখ প্রকাশ ডিএমপি কমিশনারের

ধর্ষণ শব্দ ব্যবহার নিয়ে মন্তব্যে দুঃখ প্রকাশ ডিএমপি কমিশনারের
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণকে নারী নির্যাতন বা নারী নিপীড়ন হিসেবে অভিহিত করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করার ঘটনায় এবার দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান।

বিবৃতিতে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ধর্ষণকে বৃহত্তর পরিসরে নির্যাতন হিসেবে অভিহিত করেছি। আমার বক্তব্যে কেউ মনঃক্ষুণ্ন হলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’

এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘হেল্প’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ডিএমপি কমিশনার। সেখানে তিনি বলেন, “আমি দুটো শব্দ খুব অপছন্দ করি। এর মধ্যে একটি হলো ‘ধর্ষণ’। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নিপীড়ন’ বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।”

ডিএমপি কমিশনারের এমন মন্তব্য ছড়িয়ে পড়লে আইনজ্ঞসহ নারী অধিকার কর্মীরা তার তীব্র সমালোচনা করেন। তারা বলছেন, ধর্ষণ যেমন একটি অপরাধ, নারী নির্যাতন বা নারী নিপীড়ন তেমনি পৃথক অপরাধ। আইনে এগুলোর আলাদা আলাদা সংজ্ঞা রয়েছে। ফলে ধর্ষণের ঘটনাকে নারী নির্যাতন বা নারী নিপীড়ন হিসেবে অভিহিত করার সুযোগ নেই। ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে।

রোববার ‘শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় শিশু অধিকারবিষয়ক এনজিওদের (বেসরকারি সংস্থা) প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনেও বক্তারা সুস্পষ্টভাবে বলেন, আইনি দিক ও অপরাধের ভয়াবহতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ধর্ষণকে ধর্ষণই বলতে হবে। ধর্ষণকে শুধু নারী নির্যাতন ও নারী নিপীড়ন বললে এর ভয়াবহতা হালকা হয়ে যায়।

রোববার দুপুরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত এক মানববন্ধনেও ডিএমপি কমিশনারের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার ধর্ষকের পক্ষ নিয়েছেন এবং ধর্ষককে সুরক্ষার উপায় বের করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন, যা অগ্রহণযোগ্য। অবিলম্বে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।

পরে রোববার রাতে ডিএমপি কমিশনারের ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায় সরকারও। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্ষণ মানেই ধর্ষণ, তা সে ৮ বছরের শিশুর ক্ষেত্রে হোক কিংবা ৮০ বছরের বৃদ্ধার ক্ষেত্রে। এমন জঘন্য অপরাধকে তার যথাযথ নামেই অভিহিত করা উচিত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করবে না।

r1 ad
r1 ad
top ad image