
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

সিঙ্গাপুর থেকে দেশের পথে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ। তার সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, বিমানবন্দরে অবতরণের পর ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। এর আগেই শাহবাগে জড়ো হয়েছেন হাজারও মানুষ। ওসমান হাদির মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি রওয়ানা হয়েছে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ফ্লাইটটির অবতরণের কথা রয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চ তাদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেছে, আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই বিমানবন্দর থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নেব। সেখান থেকে শহিদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।

পরে আরেক ইনকিলাব মঞ্চের আরেক পোস্টে বলা হয়েছে, ছাত্রজনতা রাজপথ দখলে রাখবেন এবং বিচারের জন্য স্লোগান জারি রাখবেন। ইনকিলাব মঞ্চ ছাড়া কারও কোনো নির্দেশনা বা প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা খুব দ্রুতই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমরা আমাদের শহিদ ভাইয়ের বিচার নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।
এদিকে ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে যোগ দিয়েছেন নানা বয়সী ও শ্রেণিপেশার মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকেই তারা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের ঢল। শাহবাগ চত্বরকে ‘শহিদ হাদি চত্বর’ ঘোষণা করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
শুক্রবার দুপুর নাগাদ শাহবাগ মোড় লোকারণ্য হয়ে পড়ে। এ সময় শাহবাগ মোড় ঘিরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়েই জুমার নামাজ আদায় করেন। এতে ইমামতি করেন শায়খুল হাদিস জসিম উদ্দিন রহমানী। এ সময় মোনাজাতে ওসমান হাদির জন্য দোয়া করা হয়।
নামাজের পরে শাহবাগ মোড় ঘিরে জনমানুষের উপস্থিতি আরও বাড়তে শুরু করেছে। সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, যুগে যুগে লড়ে যাব’, ‘তুমি কে আমি কে, হাদি, হাদি’, ‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে ওসমান হাদির প্রথম জানাজা সিঙ্গাপুরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিঙ্গাপুর সরকারের অনুমতি না থাকায় তা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
শুক্রবার এক বার্তায় হাইকমিশন বলেছে, ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় তার জানাজা সিঙ্গাপুরে হচ্ছে না। এ জন্য হাইকমিশন দুঃখ প্রকাশ করছে। সিঙ্গাপুর প্রবাসী ভাইদের সিঙ্গাপুরের আইনের প্রতি সম্মান দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা যার যার অবস্থান থেকে বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করি।’
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। এ জন্য জনসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তেমনই এক জনসংযোগে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে তাকে পোস্ট-অপারেটিভ তথা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যার জন্য স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত রোববার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরদিন সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওসমান হাদিকে। বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা চলছিল তার। তবে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চার দিনের মাথায়ই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ওসমান হাদি।

সিঙ্গাপুর থেকে দেশের পথে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ। তার সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, বিমানবন্দরে অবতরণের পর ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। এর আগেই শাহবাগে জড়ো হয়েছেন হাজারও মানুষ। ওসমান হাদির মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।
ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি রওয়ানা হয়েছে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ফ্লাইটটির অবতরণের কথা রয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চ তাদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেছে, আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই বিমানবন্দর থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নেব। সেখান থেকে শহিদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।

পরে আরেক ইনকিলাব মঞ্চের আরেক পোস্টে বলা হয়েছে, ছাত্রজনতা রাজপথ দখলে রাখবেন এবং বিচারের জন্য স্লোগান জারি রাখবেন। ইনকিলাব মঞ্চ ছাড়া কারও কোনো নির্দেশনা বা প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা খুব দ্রুতই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমরা আমাদের শহিদ ভাইয়ের বিচার নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।
এদিকে ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে যোগ দিয়েছেন নানা বয়সী ও শ্রেণিপেশার মানুষ। শুক্রবার সকাল থেকেই তারা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের ঢল। শাহবাগ চত্বরকে ‘শহিদ হাদি চত্বর’ ঘোষণা করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
শুক্রবার দুপুর নাগাদ শাহবাগ মোড় লোকারণ্য হয়ে পড়ে। এ সময় শাহবাগ মোড় ঘিরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উপস্থিত বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়েই জুমার নামাজ আদায় করেন। এতে ইমামতি করেন শায়খুল হাদিস জসিম উদ্দিন রহমানী। এ সময় মোনাজাতে ওসমান হাদির জন্য দোয়া করা হয়।
নামাজের পরে শাহবাগ মোড় ঘিরে জনমানুষের উপস্থিতি আরও বাড়তে শুরু করেছে। সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, যুগে যুগে লড়ে যাব’, ‘তুমি কে আমি কে, হাদি, হাদি’, ‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে ওসমান হাদির প্রথম জানাজা সিঙ্গাপুরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিঙ্গাপুর সরকারের অনুমতি না থাকায় তা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
শুক্রবার এক বার্তায় হাইকমিশন বলেছে, ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় তার জানাজা সিঙ্গাপুরে হচ্ছে না। এ জন্য হাইকমিশন দুঃখ প্রকাশ করছে। সিঙ্গাপুর প্রবাসী ভাইদের সিঙ্গাপুরের আইনের প্রতি সম্মান দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা যার যার অবস্থান থেকে বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করি।’
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। এ জন্য জনসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তেমনই এক জনসংযোগে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে তাকে পোস্ট-অপারেটিভ তথা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যার জন্য স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত রোববার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরদিন সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওসমান হাদিকে। বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা চলছিল তার। তবে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চার দিনের মাথায়ই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ওসমান হাদি।

বিবৃতি মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন বলেছে, সব গণমাধ্যম কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত এবং দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার এবং বড় ধরনের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী হাদির মৃত্যুতে কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা কেবল একটি ফৌজদারি অপরাধই নয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থি। এ নিন্দনীয় ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়েও সরকার কাজ করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এবং যাদের ভারতপন্থি বলে মনে করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যে ধরনের বৈরিতা উসকে দেওয়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’
৪ ঘণ্টা আগে