আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে হাসনাত-সারজিসের রিট
দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। পৃথক এক রিটে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সবশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচন বাতিল চাওয়া হয়েছে।
তবে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রিট করা হয়নি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন তিন ছাত্রনেতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও মো. হাসিবুল ইসলাম।
রিটে আওয়ামী লীগ ছাড়াও আরও ১০টি দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। দলগুলো হলো— জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল, মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ।
এদিকে আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দেবে না, আরেকটি রিট করা হয়েছে এ বিষয়ে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি হতে পারে।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম রিট দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে দল হিসেবে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারেন, সে নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৭ আগস্ট শুনানি নেন। পরে ১ সেপ্টেম্বর ওই রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
এদিকে গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।