১৯ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৩ শতাংশ: সিইসি
উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে স্থগিত হওয়া ১৯টি উপজেলার নির্বাচনে ভোটের হার অন্য সব ধাপের চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রোববার (৯ জুন) বিকেলে সিইসি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ১১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টি ভোটকেন্দ্রের হিসাব পেয়েছি৷ সেদিক থেকে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে আরেকটি ধাপ বেড়েছে। আজ পঞ্চম ধাপে ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হলো। ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে আজ পর্যন্ত ৪৬৯টিতে নির্বাচন সম্পন্ন করলাম। এবার প্রতিটি জেলায় তিনটি বা চারটি ধাপে হয়েছে। এজন্য প্রশাসনে কর্মকর্তাদের জন্য সহজ হয়েছে। স্বস্তিদায়কও হয়েছে।
সিইসি বলেন, ২৬টি উপজেলা নির্বাচন বাকি আছে। এরমধ্যে কয়েকটি এখনো মেয়াদপূর্তি হয়নি। কয়েকটি আদালতে নির্দেশনার কারণে স্থগিত রেখেছি। যথাসময়ে ওগুলোর নির্বাচনও আমরা করব। তবে উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শেষ হয়েছে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজকে ভোটার ছিল ৩০ লাখ ৪৬ হাজার। ১১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টি ভোটকেন্দ্রের হিসাব পেয়েছি৷ সেদিক থেকে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। কাজেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না কত ভোট পড়েছে। আজকে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হযেছে৷ এর মধ্যে দুইজন পোলিং অফিসার নির্বাচনী অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এই দিক থেকে আমরা কঠোর ছিলাম। মোট চারজন আহত হয়েছেন। দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সেখানে মোটামুটি বলা যায় কোপাকুপি হয়েছে। খুব যে গুরুতর ওরকম কিছু নয়।’
ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই থাকে। অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। অনৈতিকভাবে অর্থের লেনদেনের খবরও আমরা পেয়ে থাকি। এগুলো বাস্তবতা। তবে সার্বিকভাবে আমার মনে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশের যে ভূমিকা তা প্রশংসনীয়। আমাদের নির্দেশনা তারা কঠোরভাবে প্রতিপালন করছেন৷ এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছাও ছিল খুব ইতিবাচক।