সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের হামলার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলা চত্বর থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে এসে বিক্ষোভটি শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
‘আগ্রাসন বিরোধী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘বিএসএফ হামলা করে, বিজিবি কী করে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘সীমান্তে হামলা হলে, জবাব দিবে বাংলাদেশ’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মারুফ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে উগ্র হিন্দুত্ববাদী জনগণ আজকের হামলা চালিয়েছে। দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যেটা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সময়েও দেখা গেছে। গত ৫০ বছরে সীমান্তে যত হত্যা হয়েছে সবগুলোর বিচার করতে হবে।
শাকিল হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ভারতীয় আধিপত্যের নমুনা বারবার দেখতে পাচ্ছি। ফেলানী থেকে শুরু করে জয়ন্ত দাস হত্যা পর্যন্ত প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডে ভারত আমাদের ওপর আধিপত্যের পরিচয় দিয়েছে। আমরা ভারতীয় জনগণের শত্রু নই, আমাদের লড়াই ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে। দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই আধিপত্যর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যেটা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়েও আমরা দেখেছি। বর্তমান সরকারকে স্পষ্ট বলে দিতে চাই, ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের জবাব চাইতে হবে।’
গণঅভ্যুত্থান মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিল
এদিকে রাত নয়টার দিকে ‘গণঅভ্যুত্থান মঞ্চ’র ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিল থেকে শিক্ষার্থীরা সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান।