top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

স্কুলের ভর্তিতে এখনও ৮ লাখ আসনশূন্য

স্কুলের ভর্তিতে এখনও ৮ লাখ আসনশূন্য

সরকারি বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে কেন্দ্রীয় লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির পরও ৮ লাখ ১০ হাজার ৩০১টি আসন শূন্য থাকবে। এ আসনগুলোতে নতুন করে আবেদন নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মহানগর ও জেলা সদরের বেসরকারি স্কুলগুলোতে ৭ লাখ ৯৯ হাজার ৭৯০টি এবং সরকারি স্কুলে ১০ হাজার ৫১১টি আসনে ভর্তির জন্য কেন্দ্রীয় লটারির মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়নি। এবার ৬৮০টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে ৯৮ হাজার ২০৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

অন্যদিকে মহানগর ও জেলা সদরের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৭ হাজার ৮৮৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

সরকারি স্কুলে ভর্তির প্রথম ওয়েটিং লিস্টে ৭৯ হাজার ৫০২ জন ও বেসরকারি স্কুলে ১ লাখ ১ হাজার ১৫৬ জন রয়েছেন। আর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্টে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ৫৮ হাজার ৫৫৮ জন ও বেসরকারি স্কুলে ৬৭ হাজার ৫১৪ জন রয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোকে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচিত ও ওয়েটিং লিস্টে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি শেষ করতে বলেছে।

বুধবার থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম ছয় দিন লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের, এরপরের তিন দিন প্রথম ওয়েটিং লিস্টে থাকা শিক্ষার্থীদের ও এরপরের দুই দিন দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্টে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে হবে। শুক্র ও শনিবারও ভর্তি প্রক্রিয়া চালাতে পারবে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলো।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বুধবার বলেন, যদি নির্বাচিত ও দুই অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির পরও কোনো স্কুলে আসন শূন্য থাকে, তাহলে নতুন করে আবেদন নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। এক্ষেত্রে আবেদন ফি ১১০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। প্রতি শ্রেণি শাখার বিপরীতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।

“নতুন করে ভর্তির জন্য আবেদন করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা শূন্য আসনের থেকে কম হলেতো সবাই নির্বাচিত হয়ে গেল। কিন্তু শূন্য আসনের থেকে শূন্যপদের সংখ্যা কম হলে লটারি আয়োজন করতে হবে।”

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত ১১ নভেম্বর জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করবে।

ডিজিটাল লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

আর ঢাকা মহানগরীর বাইরের জেলা পর্যায়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা ভর্তি কমিটি ও উপজেলা পর্যায়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতির মনোনীত প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ডিজিটাল বা ম্যানুয়ালি লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে।

কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিভিত্তিক শূন্য আসনের তুলনায় আবেদন কম হলে লটারি ছাড়াই সরাসরি ভর্তি করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বশেষ ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি শেষ করার নির্দেশনা দিয়ে অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য জারি করা এক নির্দেশনায় বলেছে, নির্বাচিত ও ওয়েটিং লিস্টে থাকা শিক্ষার্থীদের ‘যাচাই-বাছাই করে’ ভর্তি করতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে তাকে ভর্তি করা যাবে না।

অধিদপ্তর বলেছে, সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে তার প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল লটারিতে প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত, প্রথম অপেক্ষমান ও দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য ওই লিংক থেকে যাচাই করা যাবে। লিংকে তথ্য টাইপ করে সাবমিট করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে তা জানা যাবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং নোটিশ বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা প্রদর্শন করবে।

ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালে শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের মূল কপি, জন্ম সনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময় ওই কোটাগুলোতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে।

নির্বাচিত তালিকার মধ্য থেকে কোটার শূন্য আসন পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমান তালিকা থেকে ক্রমানুসারে কোটার শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। এরপরও যদি কোটার শূন্য আসন পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচিতদের মধ্য থেকে তালিকার ক্রমানুসারে ওই শূন্য আসন পূরণ করতে হবে।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো কারণে আসন শূন্য থাকলে বছরের কোনো সময়েই ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকার বাইরে কোনো শিক্ষার্থীকে ওই শূন্য আসনে ভর্তি করানো যাবে না। সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

r1 ad
r1 ad