top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

২৬৫০ শিক্ষকের বার্মিজ ভাষার দক্ষতা বাড়াচ্ছে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট

২৬৫০ শিক্ষকের বার্মিজ ভাষার দক্ষতা বাড়াচ্ছে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানকে বার্মিজ ভাষায় দক্ষতা বাড়ানোর প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্টরা। ছবি: আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত দুই হাজার ৬৫০ জন শিক্ষকের বার্মিজ ভাষার দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট। ইউনেস্কোর সহযোগিতায় বাস্তবায়নাধীন এই কর্মসূচি সরাসরি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ৪, ১০ ও ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদের লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে।

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মিয়ানমার পাঠ্যক্রম বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় রেখে ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞরা ‘গ্রিন তারা ইনস্টিটিউটে’র সঙ্গে যৌথভাবে একটি বিস্তৃত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তৈরি ও বাস্তবায়ন করছেন।

বিশেষজ্ঞ নির্দেশনা, পাঠ্যক্রম পরিমার্জন, মূল্যায়ন পদ্ধতি ও শিক্ষণ ব্যবস্থাপনা (এলএমএস) জোরদার করার মাধ্যমে শিক্ষকদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অফ রেফারেন্স (সিইএফআর) অনুসরণ করে এই কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে।

আইএমএল বলছে, এই উদ্যোগটি যোগ্য প্রশিক্ষক ও প্রাসঙ্গিক শিক্ষাগত সংস্থানের মাধ্যমে এসডিজি ৪ (গুণগত শিক্ষা)-কে শক্তিশালী করে। এটি প্রশিক্ষণে সমান সুযোগ ও লিঙ্গ সমতার প্রতি অঙ্গীকারের মাধ্যমে এসডিজি ১০ (বৈষম্য হ্রাস)-কে এগিয়ে নিয়ে যায়। এ ছাড়া এটি মূল অংশীদারদের মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমে এসডিজি ১৭ (লক্ষ্যমাত্রার জন্য অংশীদারিত্ব)-এর উদাহরণ স্থাপন করে।

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের এ কর্মসূচির টিম লিড অধ্যাপক ড. সাঈদুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে আমরা রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করছি এবং একটি আরও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব সম্প্রদায় গড়ে তুলছি। এই কৌশলগত জোটের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখতে পেরে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট গর্বিত।

আইএমএল দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন— অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনসারুল আলম, ড. মো. মনির উদ্দিন (জাপানি ভাষা) ও জান্নাতুন নাহার (চীনা ভাষা)।

সম্প্রতি আইএমএল দলের সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা উপাচার্যকে প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। উপাচার্য প্রকল্পটির প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা প্রসারের গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি প্রকল্পের সাফল্যও কামনা করেন।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এই উদ্যোগটির মেয়াদ এ বছরের মে মাস পর্যন্ত। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কার্যকারিতা কঠোর পর্যবেক্ষণের অধীনে রয়েছে।

r1 ad
r1 ad
top ad image