চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু রোববার বিকেলে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর শঙ্করে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে জানা গিয়েছিলো, তার অবস্থা গুরুতর। যে কারণে তাকে নেয়া হয়েছিলো সিসিইউতে।
সেখান থেকে আর ফিরলেন না দেশের ফুটবলের প্রথম অধিনায়ক। আজ দুপুর পৌনে ১২টায় হাসপাতালের সিসিইউতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন জাকারিয়া পিন্টু। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকাল তার বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর।
জানা গেছে, সিসিইউতে থাকাকালীনই হার্ট স্ট্রোক করেন। এ কারণেই মূলত অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। যেখান থেকে আর তাকে ফেরানো যায়নি। তার ছেলের স্ত্রী ও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক পিন্টুর সঙ্গে। তিনি বেশ দুঃখ ভারাক্রান্ত কন্ঠে বলেন, `পিন্টু ভাই গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হলেন। এত দ্রুত আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। পিন্টু ভাই আমার খেলা নয় জীবনেরও অধিনায়ক।'
বাংলাদেশ ফুটবল দলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে। মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন ডিফেন্ডার জাকারিয়া পিন্টু। জাকারিয়া পিন্টু বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ পরিচিতি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক হিসেবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখতে সেই সময় ফুটবলাররা ভারতে প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের তহবিলে অর্থ প্রদান করেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য ফুটবলারদের এমন উদ্যোগ বিশ্বে বিরল।
জাকারিয়া পিন্টু ষাট-সত্তর দশকে মোহামেডানের জার্সিতে খেলেছেন। মোহামেডানের স্বর্ণ সময়ের অধিনায়ক ছিলেন। নানা বৈষম্যের মধ্যেও পাকিস্তান ফুটবল দলে খেলেছেন পিন্টু। স্বাধীনতা উত্তর প্রথম বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। খেলা ছাড়ার পর মোহামেডান ক্লাব ও ফেডারেশনের নানা দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেও কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন কিংবদন্তী এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব।