top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

হারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের

হারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের
৮৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান শুভমান গিল ও লোকেশ রাহুল। ছবি: এপি

প্রতিপক্ষ শিরোপাপ্রত্যাশী শক্তিশালী ভারত। তারপরও প্রত্যাশা ছিল দুবাইয়ের স্লো উইকেটে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনার। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুই তরুণ তুর্কি তাওহিদ হৃদয় আর জাকের আলী ইতিহাসও গড়লেন। কিন্তু তার আগেই টপ-মিডল অর্ডারের নিদারুণ ব্যর্থতার খেসারত দিতে হলো দলকে। ৬ উইকেটে ম্যাচ হেরেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হলো বাংলাদেশের।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুর ব্যর্থতায় হৃদয়-জাকেরের রেকর্ড ১৫৪ রানের জুটিতেও তাই ৪৯.৪ ওভারে দল অলআউট হয় ২২৮ রানে। জবাবে রোহিত শর্মা-শুভমান গিলের উড়ন্ত সূচনার পর স্পিনারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে কিছুটা লাগাম টেনে ধরে টাইগাররা। কিন্তু শুভমান গিলের সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ২১ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ভারত।

টাইগার বোলারদের মধ্যে ৩৮ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। উইকেট বিবেচনায় দলে স্পেশালিস্ট তিন স্পিনারের পরিবর্তে দুই স্পিনার খেলিয়ে তিন পেসার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পেসারদের মধ্যেও গতিময় তরুণ সেনসেশন নাহিদ রানাকে না খেলানোর সিদ্ধান্তও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা ছিল আক্রমণাত্মক। ১০ ওভারের পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার এক বল আগে যখন তাসকিনের বলে রোহিত শর্মা আউট হয়ে যান, স্কোর বোর্ডে রান তখনই ৬৯। ৩৬ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে এ সময় ১১ হাজার রান স্পর্শ করেন ভারতীয় ক্যাপ্টেন। শুভমান গিলও তখন ২৩ বলে ২৬ রানে ক্রিজে। পরে তার রানের গতি কমে এলেও ১০১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন গিল।

এর মধ্যে ৩৮ বলে ২২ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন বিরাট কোহলি। তার উইকেট নেন রিশাদ। ১৭ বলে ১৫ রানে থাকা শ্রেয়াস আইয়ারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মুস্তাফিজ। ১২ বলে ৮ রান করা অক্ষর প্যাটেলকেও ফেরান রিশাদ।

৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন কিছুটা চাপে ভারত। তবে লোকেশ রাহুলের ক্যাচ ও রান আউটের সুযোগ মিস করে টাইগার ক্রিকেটাররাই সেই চাপ হালকা করে দেন। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল। শুভমান গিলের সঙ্গে ৯৮ বলে ৮৭ রানের জুটি দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে দেয়।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েন টাইগার ক্রিকেটাররা। ১ রানে প্রথম আর ২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ৩৫ রানেই ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপরই ইতিহাস গড়া ১৫৪ রানের জুটি গড়েন হৃদয়-জাকের।

দুই তরুণের এই জুটি বাংলাদেশের পক্ষে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ভারতের বিপক্ষেও এটি ষষ্ঠ উইকেটে যেকোনো দেশের ব্যাটারদের সর্বোচ্চ রানের জুটি। অন্যদিকে ভারতের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের ব্যাটারদের যেকোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ।

এই জুটি গড়ার পথে জাকের আলী ১১৪ বলে ৬৮ রান করে আউট হন। এটি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ষষ্ঠ ম্যাচে এটি দ্বিতীয় অর্ধশত। জাকের না পারলেও হৃদয় এ দিন তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ১১৪ বলে তিনি এ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। শেষ দিকে পায়ে ক্র্যাম্প হওয়ায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে তাকে খেলতে হয়েছে বেশ কয়েকটি ওভার।

ভারতের হয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ শামি। তিন উইকেট পেয়েছেন হারশিত রানা। দুটি উইকেট পেয়েছেন অক্ষর প্যাটেল।

r1 ad
r1 ad
top ad image