বাফুফে সভাপতি পদে চারজন প্রার্থী!

বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে শুরুতে মাত্র দুজনের কথা জোরেশোরে শোনা যাচ্ছিল। তবে আজ মনোনয়নপত্র কেনার শেষ দিনে সভাপতি পদেই চারজন প্রার্থী নিশ্চিত হয়েছে। আগেই ছিলেন দুজন। আজ আরও দুজন যোগ হয়েছেন। সব মিলিয়ে ২১টি পদের জন্য ৬২টি জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
বাফুফে সভাপতি পদে চারজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সাবেক সহসভাপতি তাবিথ আউয়াল, দিনাজপুরের তৃণমূলের কোচ মিজানুর রহমান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান ও এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন জুবায়ের। এই চার প্রার্থীর মধ্যে তাবিথ ও মিজানুর রহমানই শুধু একটি সভাপতি পদে নিয়েছেন। অন্য দুজন সহসভাপতি ও সদস্য পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
তবে শুরুতে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে তরফদার রুহুল আমিন কেন দাঁড়াচ্ছেন না তার উত্তর পাওয়া যায়নি। যদিও এই সংগঠক আগেই ফুটবল থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। এমনকি টেনিসে ও সাঁতারে অর্থ ব্যয় করলেও দ্বিতীয় বিভাগে তার দলই রাখেননি! এ নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও তিনি কোনও কর্ণপাত করেননি। এবার চট্টগ্রাম আবাহনীর কাউন্সিলর হয়েও সেই দলটি খাবি খাচ্ছে অর্থাভাবে। শেখ রাসেল শিশু কিশোরের উপদেষ্টা হঠাৎ সুযোগ বুঝে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে নব্য ‘জাতীয়তাবাদী’ সেজে নির্বাচনে আসতে চাইছেন!
তবে মনোনয়নপত্র কিনে বাফুফে ভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তরফদার পন্থী রেদোয়ান অবশ্য বলেছেন, ‘তরফদার ভাই সভাপতি পদে কেন নির্বাচন করলেন না এটা উনি বলতে পারবেন। আমি সভাপতি ও সহসভাপতি দুই পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আমরা সুযোগ পেলে ফুটবল উন্নয়নের চেষ্টা করবো। তবে এখনও সময় আছে। আলোচনা হতে পারে। ফুটবলের স্বার্থে একক প্যানেল হলে সভাপতি পদ ছাড়তে রাজি রয়েছি।'
সিনিয়র সহসভাপতি পদে ইমরুল হাসান ও তরফদার রুহুল আমিন ছাড়াও আছেন মনির হোসেন।
সহসভাপতি চারটি পদে মনোনয়নপত্র কিনেছেন মোট ১২জন। ছাইদ হাসান কানন, সত্যজিদ দাশ রুপু, রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির ও শফিকুল ইসলাম মানিকের মতো সাবেকরা রয়েছেন। সাব্বির তো বলেছেন, 'দেশের ফুটবল উন্নয়নে আমি নির্বাচনে এসেছি। আশা করছি দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ পাবো।’
১৫টি সদস্য পদে ৪৩ জন প্রার্থী। সাবেক ফুটবলার ও সংগঠকরা আছেন। আছেন ফিফা থেকে নিষিদ্ধ আবু নাইম সোহাগের স্ত্রীও। সব মিলিয়ে ২৩ লাখ টাকার ফর্ম বিক্রি হয়েছে।