জয় দিয়ে বছর শেষ করল বাংলাদেশ
এ বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের সূচি নেই। শেষ ম্যাচে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছিল তপু-মোরসালিনরা। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। দলের হয়ে গোল করেছেন মাসুক মিয়া জনি এবং পাপন সিং।
প্রথম ম্যাচে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে লিখল দারুন এক প্রত্যাবর্তনের গল্প। ম্যাচের ২৪ মিনিটে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তপু বর্মনের ভুল পাসের সুযোগ নিয়ে সফরকারী দলকে এগিয়ে দেন আলি ফাসির। বক্সের বা প্রান্ত থেকে দেওয়া তপুর পাস বাংলাদেশের অর্ধে পেয়ে যায় মালদ্বীপ। ফিরতি পাস পেয়ে তপু আর সাদ উদ্দিনকে কাটিয়ে আলি ফাসির পরাস্ত করেন মিতুলকে।
বিরতির আগে জনির গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ৪৩ মিনিটে মোরছালিনের সঙ্গে ফাহিমের দেওয়া নেওয়ার পর বল পেয়ে যান জনি। পায়ে বল নিয়ে সামনে থাকা প্রতিপক্ষের চারজন ডিফেন্ডারকে বোকা বাকিয়ে জোড়ালো শট নেন গোলে। মালদ্বীপের গোলরক্ষক ডান দিকে ঝাপিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলেও বলের নাগাল পাননি তিনি। প্রথমার্ধে ১-১ গোলের সমতায় বিরতীতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়ায় বাংলাদেশ। দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ম্যাচের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে শাহরিয়ার ইমনের দুরপাল্লার শট যায় মালদ্বীপের গোলরক্ষক বরাবর। তবে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি তিনি।
বলের লাইনে বক্সের দিকে দৌঁড়ে যান মোরছালিনের বদলি নামা নোভা। গোলরক্ষকের ভুলে গোলমুখের সামনে ফাকায় বল পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি অভিষিক্ত নোভা। তার দুর্বল শট যায় বক্সের বাঁ পাস ঘেষে। চার মিনিট পর ইমনের ফ্রিকিক থেকে হেডে তপুও পারেননি কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দিতে।
যোগ করা সময়ের তিনি মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণের সুর বেধে দেন রহমত মিয়া। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে শাহরিয়ার ইমন ক্রস করেন বক্সের ভেতর। ডামি করে বল ছেড়ে দেন পিয়াস আহমেদ নোভা। বল পেয়ে যান পাপন সিং, প্লেসিং শটে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই ফুটবলার। জাতীয় দলের হয়ে এটি পাপনের প্রথম গোল। তার গোলেই দলের জয় নিশ্চিত হয়।