top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

ভালো শুরুর পরও ২৩৬ রানে থামল বাংলাদেশের ইনিংস

ভালো শুরুর পরও ২৩৬ রানে থামল বাংলাদেশের ইনিংস
তানজিদ তামিম ভালো সূচনা পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি

আগের ম্যাচের পাওয়ারপ্লের বিভীষিকা ভুলে এ দিন পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৫৮ রান। সে হিসাবে বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখাচ্ছিলেন টাইগাররা। তবে সে স্বপ্ন ফিকে হতে সময় লাগেনি। শেষ পর্যন্ত নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকের আলীর লড়াইয়ে ৯ উইকেটে ২৩৬ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে এই রানের মধ্যেই আটকাতে হবে নিউজিল্যান্ডকে।

পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ ও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। টসে জিতে বাংলাদেশকেই ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান কিউই ক্যাপ্টেন মিচেল স্যান্টনার।

ইনিংসের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। সৌম্য সরকার দলে না থাকায় তানজিদ তামিমের সঙ্গে এ দিন ওপেনিংয়ে নামেন ক্যাপ্টেন শান্ত নিজেই। ৮ ওভারে ৪৫ রান পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন দুজনে। ২৪ বলে বলে ২৪ রান করে নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তানজিদ।

ওয়ান ডাউনে মিরাজ কিছুটা চালিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৪ বলে ১৩ রানের বেশি লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে পতন দ্বিতীয় উইকেটের। দলের রান তখন ৬৪।

এরপর তাওহীদ হৃদয় কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করেন। ২৪ বল পর্যন্ত টিকেও ছিলেন, তবে রান করেছেন মাত্র ৭। ২১তম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হওয়ার সময় দলের রান ৯৭। পরের ২১ রানের মধ্যেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন মুশফিকুর রহিম (৫ বলে ২) ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১৪ বলে ৪)। ১১৮ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে বাংলাদেশ।

এরপর আগের দিনের মতো ষষ্ঠ উইকেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। ব্যাটিংয়ে নামা জাকের আলীকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন ক্যাপ্টেন শান্ত। দলকে টেনে নিয়ে যান ৩৭ ওভার পর্যন্ত। ৬৭ বলে ৪৫ রানের জুটি হয় দুজনের। এরপর শান্ত নিজেই আউট। তার ১১০ বলের ৭৭ রানের ইনিংস দলের পক্ষে এ দিন একমাত্র অর্ধশত।

পরে রিশাদ হোসেনের সঙ্গে জাকের আলীর ৩৫ বলে ৩৩ রানের এবং এরপর তাসকিন আহমেদের সঙ্গে ৩০ বলে ৩৫ রানের দুটি জুটি দলের রান ২০০ পার করে দেয়। সপ্তম উইকেট হিসেবে রিশাদ আউট হওয়ার আগে করেছেন ২৫ বলে ২৬ রান। এরপর ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে জাকের রান আউট হয়ে যান। ৫৫ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

শেষ দিকে তাসকিন ২০ বল খেললেও রান পান মাত্র ১০। মুস্তাফিজুর রহমান ৫ বল খেলে মাত্র ৩ রান করতে সমর্থ হন। শেষ ওভারে নাহিদ রানা ৪টি বল খেলার সুযোগ পেলেও কোনো রান করতে পারেননি। তাই মাঝের বিপর্যয়ের পর ফের জাকের-রিশাদ-তাসকিনে ২৫০ রানের আশা জাগলেও দলকে থামতে হয়েছে ৯ উইকেটে ২৩৬ রানের সংগ্রহে।

কিউই বোলারদের মধ্যে টানা ১০ ওভার বোলিং করে ২৬ রানে বাংলাদেশের প্রথম ৫ উইকেটের ৪টিই তুলে নেন অফ স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল। ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন উইল ও’রোর্কে। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাট হেনরি ও কাইল জেমিসন।

r1 ad
r1 ad
top ad image