গ্রেনেড হামলা মামলা: তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আদালত। একই মামলায় উচ্চ আদালতে খালাস পাওয়া মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসব আসামিও এতদিন পলাতক ছিলেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশীদ মোল্লা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এ মামলায় বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল তারেক রহমানের। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে উচ্চ আদালতে মামলাটির বিচারকাজ এগিয়ে যায়। পরে গত ১ ডিসেম্বর এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী আব্দুর রশীদ মোল্লা বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-১-এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন।
আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। ওই দিন তখন বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ওই হামলায় ১৪ জন নিহত ছাড়াও ঘটনাস্থলে থাকা সহস্রাধিক নেতাকর্মীসহ অন্যরা আহত হন।
এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইনসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।