top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

দিনাজপুরে মরুর প্রাণী দুম্বার খামার

দিনাজপুরে মরুর প্রাণী দুম্বার খামার
ছবি : সংগৃহীত

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় শখের বশে মরুভূমির প্রাণী দুম্বার খামার গড়ে তুলেছেন আব্দুল হান্নান। পেশায় তিনি একজন ধান-চাল ব্যবসায়ী। ভারতের রাজস্থান থেকে দুম্বাগুলো সংগ্রহ করে এই খামার গড়েছেন তিনি।

গত শুক্রবার খামারের মালিক আব্দুল হান্নান জানান, কয়েক বছর আগে প্রথমে ভারতের রাজস্থান থেকে ৬টি দুম্বা সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। সেই দুম্বা বেড়ে বর্তমানে ৩৫টি হয়েছে। পরম যত্নে প্রাণিগুলোকে লালন-পালন করছেন তিনি। খামারটি একনজর দেখার জন্য প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। কেউ চাইলে সেখান থেকে কোরবানির দুম্বা সংগ্রহ করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন ওই খামারি।

খামারের শ্রমিকরা বলেন, আমরা প্রতিদিন দুম্বাগুলোকে নেপিয়ার ঘাস, ভুসি, ডাল ও ছোলা দিয়ে থাকি। দুম্বাগুলো স্বভাবে খুবই শান্ত প্রকৃতির। এজন্য দেখাশোনা করতে তেমন সমস্যা হয় না।

দুম্বা খামারি আব্দুল হান্নান বলেন, শখের বশেই আমার এই দুম্বার খামার গড়ে তোলা। তবে প্রতি বছর কোরবানির সময় দুম্বাগুলো প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। কেউ চাইলে ক্রয় করতে পারে। গত কোরবানিতে বিক্রয় করা হয়েছিল ৮ টি দুম্বা। আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২০টি দুম্বা। আশা করছি প্রতিটি দুম্বার মূল্য ১ লাখ টাকা করে পাব।

এর মধ্যেই কিছু গ্রাহক তার খামারে এসে আসন্ন কোরবানি ঈদের জন্য দুম্বা পছন্দ করে গেছেন। অনেক ক্রেতা দর-দাম করছেন। চাহিদামতো দাম হলেই প্রস্তুত করা ২০ টি দুম্বা বিক্রি করবেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ (ডিএলও) কর্মকর্তা ডা. আশিকা আকবর ত্রিশা বলেন, এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৬টি। প্রস্তুত রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২০টি। চাহিদা পূরণ করেও অবশিষ্ট থাকবে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৩টি কোরবানির পশু। জেলার অবশিষ্ট পশুগুলো অন্যত্র পাঠানো যাবে।

তিনি আরও বলেন, বৃহত্তর এই জেলায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পশুর খামার। বর্তমান বোচাগঞ্জ উপজেলায় একটি দুম্বার খামারও গড়ে উঠেছে। এটা ভালো উদ্যোগ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ এলাকার সকল খামারিদের সুপরামর্শসহ সেবা দিয়ে আসছেন।

r1 ad
top ad image