বন্যায় সুস্থ থাকতে যা করবেন

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

ভয়াবহ বন্যায় নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, ও মৌলভীবাজার এই ছয়টি জেলার প্রায় ১৮ লাখ মানুষ ক্ষত্রিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় ভেসে যাচ্ছে ঘর, বাড়ি, পশু, খামারের মুরগি, দোকানের জিনিসপত্র ইত্যাদি। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের কষ্টের সীমা নেই। এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগেও মাথা ঠান্ডা রেখে নিজেদের শক্ত রাখতে হবে। সম্পদের চেয়েও জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই এসময়ে কী করা উচিত, এবং কী করা উচিত নয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

বন্যার সময় সুস্থ ও নিরাপদে থাকতে যা করবেন

  • এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঠান্ডা মাথায় প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিন।

  • বন্যার পানিতে বাড়িঘর ডুবে গেলে নিকটস্থ উঁচু স্থানে কিংবা সরকারি-বেসরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। যদি পাশের গ্রামে বন্যার পানি এখনো না পৌঁছায়, তাহলে সেখানে আশ্রয় নিন।

  • বিপদের সময় সম্পদ ও জিনিসপত্রের মায়া না করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন বাঁচান। গর্ভবতী নারী ও শিশুদের সর্বচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিন। সময় ও সুযোগ পেলে গবাদি পশুদের নিরাপদ স্থানে নেওয়ার চেষ্টা করুন।

  • যেখানে আশ্রয় নেবেন সেখানের কোনো ঘরের পাটাতনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা করতে পারেন।

  • সঙ্গে শুকনো খাবার যেমন চিড়া-মুড়ি-গুড় ইত্যাদি রাখুন। সম্ভব হলে সঙ্গে স্যালাইন রাখুন।

  • যাতায়াতের জন্য নৌকা হাতের কাছে না পেলে কলার ভেলা ব্যবহার করুন।

  • বন্যার পানিতে বিভিন্ন রোগব্যধি হতে পারে। পেটের অসুখ ও অন্যান্য অসুখ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইনজেকশন কিংবা টিকা নিন।

  • আপনার আশ্রইয়স্থলের কাছাকাছি কোন স্থানে মেডিকেল টিম ও স্বাস্থ্যকর্মী আছে, তা জেনে নিন। তাদের সাহায্য নিন।

  • বন্যার সময় সাপের উপদ্রব বাড়ে। তাই ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড রেখে দিন। এতে সাপ ঘরের ভেতর প্রবেশ করবে না।

  • সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ গ্রহণ করুন। তাদের ত্রাণে অভাব মেটানোর চেষ্টা করুন।

  • এমন দুর্যোগে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। সম্পদ রক্ষার্থে এবং বন্যাকবলিত এলাকার নিরাপত্তা রক্ষার্থে দ্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করুন।

  • বন্যার সময় কলেরাসহ বিভিন্ন রোগ থেকেন বাঁচতে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। খাবার খাওয়ার আগে ও পরে, টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

  • অকারণে বন্যার পানিতে হাঁটবেন না। হাঁটলেও বুট জুতা কিংবা পানিরোধক জুতা পরে নিন।

  • বন্যার সময় পানির নিচে বৈদ্যুতিক টাওয়ার, খুঁটি ও ট্রান্সফরমার লাইনের তার ডুবে যায়। এসব বৈদ্যুতিক লাইনের নিচ দিয়ে নৌকা বা ভেলা চালালে সতর্ক থাকুন।

ad
ad

সাত-পাঁচ থেকে আরও পড়ুন

বুদ্ধিজীবীদের রক্ত, গভর্নর হাউজে বোমার ভূমিকম্প আর ‘টাইগার’ এখন খাঁচাবন্দি!

এই ভয়াল ট্র্যাজেডির পাশাপাশি এ দিনই শুরু হয় আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিক নাটকীয়তাও। ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মানেকশের চরমপত্রের পর ১৩ ডিসেম্বর রাতে জেনারেল নিয়াজি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর ছিল সেই দিন, যেদিন নিয়াজির আত্মসমর্পণের সেই ঐতিহাসিক সিগন্যালটি দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছায়।

১৫ দিন আগে

বিজয়ের ৪৮ ঘণ্টা আগে যেভাবে ‘মগজশূন্য’ করা হয় জাতিকে

একাত্তরের ডিসেম্বরের শুরু থেকেই যখন রণাঙ্গনে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে আসছিল, তখনই গভর্নর হাউসের অন্দরমহলে মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী এক ভয়ংকর নীলনকশা চূড়ান্ত করেন। তাঁর ডায়েরিতেই পাওয়া যায় সেই মৃত্যু-তালিকা, যেখানে লেখা ছিল দেশের প্রথিতযশা শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের নাম।

১৫ দিন আগে

ঢাকার গলায় ‘ফাঁস’, শিরোমণির ট্যাংক যুদ্ধ এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার ছক!

১৩ ডিসেম্বর ঢাকার আকাশ, বাতাস এবং মাটি সব কিছুই যেন পাকিস্তানি জেনারেলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। জেনারেল নিয়াজি তার ক্যান্টনমেন্টের সুরক্ষিত ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে বসে ম্যাপের দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন যে, পালানোর আর কোনো রাস্তা খোলা নেই।

১৬ দিন আগে

পাকিস্তানিদের শেষ ভরসা সপ্তম নৌ বহরও পরিণত মরীচিকায়

পরাশক্তিদের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও প্রবাসী সরকার ছিল অটল। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১২ ডিসেম্বর এক বেতার ভাষণে বলেন, ‘সপ্তম নৌ বহর আমাদের স্বাধীনতা আটকাতে পারবে না। প্রয়োজনে আমরা ১০০ বছর যুদ্ধ করব, তবু বিদেশিদের কাছে মাথা নত করব না।’

১৭ দিন আগে