রাজধানীতে নিহত আরেকজনের পরিচয় শনাক্ত

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় নিহত দুই যুবকের মধ্যে অপরজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। নিহত যুবকের নাম সবুজ আলী (২৫)। তিনি নীলফামারি সদর উপজেলার বাদশা আলীর ছেলে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁর আঙুলের ছাপ নিয়ে পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহাবুব আলী মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বিকেল ৫টার পর রক্তাক্ত অবস্থায় সবুজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ শনাক্তের পর ঢাকা কলেজের শিক্ষকরা এসে জানান, তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। নিহত সবুজ আলী ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি নর্থ হলের ২০৫ নম্বর রুমে থাকতেন। সবুজ আলীর বাবার নাম বাদশা আলী ও মায়ের নাম সূর্য বানু। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার ভবানন্দহাট (আরাজি দলূয়া বাংলা বাজার) এলাকায়।
ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর শুনে ঢামেকে এসেছি। প্রাথমিকভাবে নিহত সবুজ আমাদের শিক্ষার্থী এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি বিষয়গুলো পরে দেখা হবে।
অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ফেসবুকে নিহত সবুজ আলীকে নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ‘কোটা আন্দোলনকারীদের হাতে খুন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী’।
সবুজ ছাড়াও এদিন ঢাকার ওই এলাকায় এই সংঘর্ষে মো. শাহজাহান নামে আরেক যুবক নিহত হয়েছেন। সন্ধ্যার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিটি কলেজের সামনের রাস্তায় পড়ে ছিলেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘণ্টাখানেক পরে শাহজাহানের মা আয়েশা খাতুন হাসপাতালে এসে ছেলেকে শনাক্ত করেন।