top ad image
top ad image
home iconarrow iconবিশ্ব রাজনীতি

ঘুষের মামলায় ট্রাম্পের সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ

ঘুষের মামলায় ট্রাম্পের সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলায় সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ট্রাম্প নিজেকে এ মামলায় নির্দোষ দাবি করেছেন। তার দাবি, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ক্ষতি করার জন্য মামলাটি করা হয়েছিল।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ওই মামলার বিষয়ে আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ট্রাম্পের সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি অপমানজনক। তবে আসলে একটি ন্যায্য সিদ্ধান্তও।’

বিবিসি এক প্রতিবেদেন জানিয়েছে, সাজা স্থগিতের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন ট্রাম্প। বিচারকরা ৫-৪ ভোটে আবেদনটি খারিজ করেন।

এর আগেই অবশ্য নিউইয়র্কের বিচারক জুয়ান মার্চান ট্রাম্পকে কারাদণ্ড বা জরিমানা না দিয়ে শর্তহীন খালাস দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে তার আদেশ অনুযায়ী, ট্রাম্প সশরীরে কিংবা ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন।

২০২৪ সালের মে মাসে দোষী সাব্যস্ত ঘোষণার পর ট্রাম্পকে প্রথমে জুলাই মাসে সাজা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আইনজীবীদের আবেদনে এ রায় পিছিয়ে যায়। গত সপ্তাহে বিচারপতি মার্চান ঘোষণা করেন, ১০ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করা হবে।

এ মামলার বিরুদ্ধে তার শেষ আবেদনে ট্রাম্প বলেছিলেন, এটি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনে প্রভাব ফেলবে এবং দায়িত্ব পালনে তার সক্ষমতাকে বাধা দিবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জয়কে তার বিরুদ্ধে থাকা মামলা বাতিলের জন্য ব্যবহার করতে ট্রাম্প এমন উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার বিষয়টি জালিয়াতির মাধ্যমে নথিতে গোপন রাখার বিষয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিকে ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন ওই অর্থ ড্যানিয়েলসের হাতে তুলে দেন। এমন অভিযোগ আসে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও তিনটি রাজ্যে অভিযোগ ও কেন্দ্রীয় আদালতে ফৌজদারি মামলা আছে। এর একটি গোপনীয় নথি বিষয়ে, দুটি ২০২০ সালের নির্বাচনি ফল সংক্রান্ত।

r1 ad
r1 ad
top ad image