৫০ ভারতীয় সেনা নিহতের দাবি পাকিস্তানের\n
ডয়চে ভেলে বাংলার প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ রাজৌরিতে অবস্থান করছিলেন শুক্রবার। তিনি বলেন, রাত ৯টার পর প্রায় শ খানেক ড্রোন উড়ে আসে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় হয়ে একের পর এক ড্রোনকে আকাশেই নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এর সামান্য পরে শুরু হয় গোলাবর্ষণ। চলে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে। তারপর গুলির লড়াই। রাত ১০টার পর চারপাশ শান্ত হয়।
জম্মু ও কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ পেলাম। সম্ভবত গোলাবর্ষণের শব্দ। আমি যেখানে আছি, সেখান থেকে স্পষ্ট শব্দ শুনলাম। সবাই ঘরের ভেতরে থাকুন। কোনো গুজবে কান দেবেন না। কোনো গুজব ছড়াবেন না।
পাঞ্জাবের অমৃতসরেও একাধিক ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ফিরোজপুরের এসএসপি জানান, একটি ড্রোন আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে আছড়ে পড়লে তিনজন আহত হয়েছেন। একটি গাড়িতে আগুন ধরে গেছে। রাজস্থানের বারমের ও জয়সলমিরেও ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
কাশ্মিরের পুঞ্চ অঞ্চল থেকে বিবিসির রাঘবেন্দ্র রাও বলেন, ‘পুঞ্চে গতকাল (বৃহস্পতিবার) আর আজ (শুক্রবার) গোলাগুলি চলছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
পাঠানকোটে রয়েছেন বিবিসির সংবাদদাতা জুগল পুরোহিত ও তার সঙ্গী ক্যামেরাম্যান অন্তরিক্ষ জৈন। তারা বেশকিছু বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং আকাশে ঝলকানি দেখতে পেয়েছেন। তারা জানান, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ড্রোন হামলা হচ্ছে। সেগুলোকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চলছে। পুরো শহরে ব্ল্যাক আউট চলছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, পাকিস্তান থেকে পাঠানো অধিকাংশ ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলো তুরস্কে তৈরি।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবর বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, তিন সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকরের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। তবে এসব বৈঠকের সিদ্ধান্ত বা আলোচনা নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেছেন, ভারত থেকে পাঠানো ড্রোনের একটিও নিজ দেশে ফেরত যায়নি। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, ভারত ইসরায়েলের তৈরি ড্রোন পাকিস্তানে পাঠিয়েছে এবং সেনাবাহিনী এমন ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করছে।
এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আহমেদ শরিফ চৌধুলী বলেন, আমরা যখন হামলা চালাব, তাদের উত্তর দেবো। তখন ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোকে সেটার কথা বলতে হবে না, সবাই সেটা শুনতে পাবে।