রোজা শুরুর তারিখ ঘোষণা করল যেসব দেশ

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৫, ০১: ৩১
আকাশে নতুন চাঁদ। গালফ নিউজ ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী শুরু হতে যাচ্ছে মুসলিমদের জন্য অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ মাস রমজান। এরই মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কিছু দেশের আকাশে হিজরি নবম এ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তবে পাকিস্তান, জাপানসহ আরও কিছু দেশ জানিয়েছে, তাদের দেশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।

হিজরি যেকোনো মাসের ২৯তম দিনেই পরের মাসের চাঁদ দেখা হয়ে থাকে। এ দিন নতুন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন শুরু হয় নতুন মাস। নতুন চাঁদ না দেখা গেলে হিজরি মাসটি পরদিন ৩০ দিনে পূর্ণ হয়, নতুন মাস শুরু হয় আরও একদিন পর।

এ বছর যেসব দেশে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ছিল হিজরি শাবান মাসের ২৯ তারিখ, সেসব দেশেই চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো যেসব দেশে চাঁদ দেখা গেছে সেসব দেশে শনিবার (১ মার্চ) শুরু হবে রমজান মাস। অন্যদিকে পাকিস্তান ও জাপানের মতো দেশে চাঁদ দেখা যায়নি সেসব দেশে রমজান মাস শুরু হবে রোববার (২ মার্চ)।

যেসব দেশে রোজা শুরু শনিবার

মধ্যপ্রাচ্য ও আশপাশের দেশগুলোর বেশির ভাগই শুক্রবার সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে এসব দেশে রমজান মাস তথা রোজা শুরু হবে শনিবার থেকে।

এসব দেশের মধ্যে রয়েছে— ইয়েমেন, জর্ডান, ইরাক, সিরিয়া, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, অস্ট্রেলিয়া।

যেসব দেশে রোজা শুরু রোববার

২৯ শাবান হওয়ায় শুক্রবার আরও অনেক দেশেই নতুন চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হয়। তবে এসব দেশে রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি আকাশে। ফলে এসব দেশে রোববার শুরু হবে রমজান মাস।

এসব দেশের মধ্যে রয়েছে— পাকিস্তান, জাপান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই।

রমজান মাস বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস। এ মাসে সুস্থ-সমর্থ মুসলিমদের জন্য রোজা রাখা ফরজ। কারণ এই রোজা কালেমা, নামাজ, হজ ও জাকাতের মতোই পাঁচ স্তম্ভের একটি।

ফজরের আজানের ঠিক আগের মুহূর্ত থেকে শুরু করে মাগরিবের আজান পর্যন্ত সময় পানাহার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ইন্দ্রিয়ের সংযমের মধ্য দিয়ে রোজা পালন করতে হয়। সন্ধ্যার পর এশার নামাজের পর রয়েছে তারাবির নামাজ। মাসব্যাপী রোজা তথা সিয়াম সাধনার কারণেই এই রমজান মাসের ফজিলত অনেক।

পবিত্র কোরআন শরিফে বলা আছে, রোজার মাসে ইবাদত-বন্দেগিসহ যেকোনো ভালো কাজের সওয়াব ৭০ গুণ বেশি পাওয়া যায়। আর ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকার মাধ্যমে রমজান মাস মানুষকে খোদাভীতি তথা তাকওয়া অর্জনে সহায়তা করে থাকে, যা একজন মুসলিমের পরম আরাধ্য।

রোজা এমন একটি ইবাদত, যার প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে দেন। এ মাসেই শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর পবিত্র কোরআন শরিফ নাজিল হয়। রমজান মাসেই রয়েছে পবিত্র কদরের রাত, যার মহিমা হাজার রাতের চেয়েও বেশি। রমজানের শেষ ১০ দিনের মধ্যে বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাতের সন্ধান করতে বলা হয়েছে হাদিসে।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন