মিয়ানমার প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ‘রাষ্ট্রদূত ভ্রমণ অনুদান’
মিয়ানমারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রথমবারের মতো ৪ প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ‘রাষ্ট্রদূত ভ্রমণ অনুদান’ প্রদান করেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দূতাবাসে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৪’ উদযাপনকালে রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন এ অনুদান হস্তান্তর করেন।
নতুন প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে অবহিতকরন এবং দু’দেশের মানুষের মাঝে সুসম্পর্ক বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে রাষ্ট্রদূত এই অনুদান কার্যক্রম চালু করেন। এর আওতায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা/গবেষণা কাজে বাংলাদেশ অথবা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভ্রমণ-ব্যয় বহন করে থাকে।
‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস এবং জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে এক ‘মতবিনিময়’ সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানমালায় আরও অন্তর্ভুক্ত ছিল দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ, প্রবাসীদের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ।
রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বীর এবং জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ সব নাগরিকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮৮ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা, যুদ্ধে আক্রান্ত লেবানন প্রবাসীদের সরকারি খরচে দেশে ফেরত আনা, ঢাকায় বিমানবন্দরে প্রবাসী লাউঞ্জ স্থাপনসহ প্রবাসীদের কল্যাণে দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সবার একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন।
‘রাষ্ট্রদূত ভ্রমণ অনুদান’ সম্পর্কে ড. হোসেন বলেন যে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের শিশুদের বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে আরও আগ্রহী করার প্রয়াস থেকেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসীরা রাষ্ট্রদূতের এ উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রশংসা করেন।
মিয়ানমারে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, জাতিসংঘ-আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ও বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকসহ বাংলাদেশ কম্যুউনিটির সদস্যরা এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।