সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০১ মে ২০২৫, ১৬: ৩৯

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে, এমন পরিস্থিতিতে ফের প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানাল চীন। স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বেইজিং বলেছে, যেকোনো পরিস্থিতিতেই তারা পাকিস্তানের পাশে থাকবে।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে নিযুক্ত চীনা কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন একথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, লাহোরে চীনের কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন বলেছেন, সব পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন। অবশ্য তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধ কোনও সমাধান নয়; পাকিস্তান ও ভারতের উচিত সংলাপ ও কূটনৈতিক পথে শান্তির রাস্তা খোঁজা।

লাহোরে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কেন্দ্রীয় পাঞ্জাব শাখার নেতাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় পিপিপি কেন্দ্রীয় পাঞ্জাবের অর্থ সম্পাদক আহমাদ জাওয়াদ রানার বাসভবনে।

ঝাও বলেন, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা অবকাঠামোতে দীর্ঘদিনের। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “চীন পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল, আছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে—বিশেষ করে নিরাপত্তা, কৌশলগত সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে।”

আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠকে জাতীয় ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। ঝাও বলেন, চীন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের শিকড় গভীরে গাঁথা। তিনি জানান, “প্রত্যেক চীনা নাগরিক পাকিস্তানকে ভালোবাসে এবং পাকিস্তানিরাও চীনকে একইরকম ভালোবাসা ও সম্মান দেখায়।”

বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হয়। দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন।

বৈঠকের শেষ দিকে দুই দেশই চীন-পাকিস্তান বন্ধুত্ব চিরকাল অটুট থাকবে বলে পুনর্ব্যক্ত করে। ঝাও বলেন, পাকিস্তান শুধু প্রতিবেশী বা মিত্র নয়, চীনের কাছে এক পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি আরও বলেন, “পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও কৌশলগত সহযোগিতাই আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি।”

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

চীনের ওপর ১০০% শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে

ট্রাম্পকে হারিয়ে নোবেল জেতা কে এই মাচাদো?

২০১০ সালে মাচাদো নির্বাচনে অংশ নিয়ে রেকর্ড ভোটে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৪ সালে সরকার তাকে বহিষ্কার করে। তবু থেমে যাননি তিনি। এখন তিনি বিরোধী দল ‘ভেন্তে ভেনেজুয়েলা’-এর নেতা। ২০১৭ সালে তিনি ‘সয় ভেনেজুয়েলা’ নামে নতুন এক জোট গঠন করেন, যা গণতন্ত্রপন্থী সব পক্ষকে একত্র করেছে।

১৬ ঘণ্টা আগে

এবারও নোবেল জুটল না ট্রাম্পের কপালে

আগের মেয়াদের মতোই এ বছরও ট্রাম্পের ভাগ্যে নোবেলের শিঁকে ছেড়েনি। আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এ বছরের জন্য শান্তিতে নোবেলজয়ী হিসেবে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ঘোষণা করেছে ভেনিজুয়েলার মানবাধিকার কর্মী মারিয়া করিনা মাচাদোর নাম।

১৮ ঘণ্টা আগে

শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনিজুয়েলার মারিয়া মাচাদো

নোবেল কমিটি এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে বলেছে, ভেনিজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ ও দেশটির একনায়কতন্ত্র থেকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ অবদানের কারণে মারিয়া করিনা মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

২০ ঘণ্টা আগে