পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা\n
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করায় বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
রাষ্ট্রীয় শোক পালনের পাশাপাশি পোপ ফ্রান্সিসের বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
এদিকে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আর্থনা সামিটে যোগ দিতে বর্তমানে তিনি কাতারে অবস্থান করছেন। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, কাতার সফরের কর্মসূচি শেষ করে সেখান থেকেই সরাসরি ভ্যাটিকানে যাবেন অধ্যাপক ইউনূস।
পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ভিড়। ছবি: রয়টার্স
এর আগে পোপ ফ্রান্সিস সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সেখানেই এখনো তার মরদেহ রাখা আছে। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে।
ভ্যাটিকান জানিয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জায় নেওয়া হয়েছে। সমাহিত করার আগ পর্যন্ত জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানেই রাখা হবে পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ।
সাধারণত পোপের মৃত্যুর চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করতে হয়। এসব আয়োজন হয়ে থাকে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে। ঐতিহ্যগতভাবে পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও পোপ ফ্রান্সিস গত বছরই নির্দেশনা দিয়ে রেখেছিলেন, তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া যেন সাধারণভাবে আয়োজন করা হয়।
সাধারণত পোপদের সমাহিত করা হয় ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায়। কিন্তু পোপ ফ্রান্সিসের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে রোমের ব্যাসিলিকা অব সেন্ট মেরি মেজরে সমাহিত করা হবে। প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে এই প্রথম কোনো পোপকে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বাইরে সমাহিত করা হবে।
পোপদের সাইপ্রেস, সিসা এবং ওক গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী কফিনে সমাহিত করা হয়ে থাকে। তবে পোপ ফ্রান্সিস অনুরোধ করে গেছে, তাকে যেন সাধারণ কাঠের কফিনে সমাহিত করা হয়।